সময় যত বাড়ছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাব ততোই বাড়ছে। তীব্র হচ্ছে বাতাসের গতিবেগ। বাড়ছে জোয়ারের পানির চাপ। সেই সঙ্গে বাড়ছে উপকূলীয় এলাকার মানুষের দুশ্চিন্তাও। ঘূর্ণিঝড় থেকে উপকূলীয় মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সাইক্লোন শেল্টারে পাঠানো হচ্ছে বৃদ্ধ ও শিশুদের।
Advertisement
এদিকে ভারি বর্ষণ ও দমকা হওয়ার কারণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে খুলনা মহানগরীর জনজীবন।
কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোন সূত্রে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কারণে জানমালের নিরাপত্তায় সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
খুলনার উপকূলীয় উপজেলা কয়রার সবচেয়ে ভাঙন প্রবণ এলাকা দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আসান আলী জানান, সিত্রাং উপকূলীয় মানুষের ঘুম কেড়ে নিয়েছে। ইউনিয়নের আংটিহারা, চরামুখা, জোড়সিং ও গোলখালী এলাকা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এসব এলাকার বয়স্ক ও শিশুদের সাইক্লোন শেল্টারে পাঠানো হয়েছে।
Advertisement
তিনি আরও বলেন, রোববার (২৩ অক্টোবর) দিবাগত রাত থেকে এলাকায় ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়েছে। বিকাল থেকেই এলাকায় মাইকিং করা হয়েছে। এলাকাবাসীকে দ্রুত সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নিতে বলা হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, এবার অনাবৃষ্টির কারণে আমন ধান একটু দেরিতে রোপণ করা হয়েছে। সেই ধান ফুলতে শুরু করেছে। এই সময়ের বৃষ্টি ও ঝড় ধানের খুব ক্ষতি হবে।
এলাকার বাসিন্দা ও স্বাধীন সমাজ কল্যাণ পরিষদের সভাপতি আবু সায়ীদ বলেন, এলাকাবাসিকে সতর্ক করার জন্য একদিন আগে থেকেই মাইকিং করছি। বৃদ্ধ ও শিশুদের সেল্টারে পাঠাতে সহায়তা করে চলেছি।
কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের অপারেশন অফিসার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জামান জানান, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সাগর উত্তাল রয়েছে। বর্তমানে বাতাসের গতিবেগ রয়েছে ঘণ্টায় ২০/২৫ নটিক্যাল মাইল।
Advertisement
তিনি আরও জানান, সুন্দরবন এলাকার মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সবাইকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
খুলনা আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র আবহাওয়াবিদ মো. আমিরুল আজাদ বলেন, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কারণে মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। সোমবার (২৪ অক্টোবর) সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ৩২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
আলমগীর হান্নান/এএইচ/জিকেএস