জাতীয়

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে বৃষ্টি, ভোগান্তিতে নগরবাসী

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে রাজধানী ঢাকায় সকাল থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। সোমবার (২৪ অক্টোবর) সকালে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে অফিসগামী ও শিক্ষার্থীদের কিছুটা ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। বৃষ্টিতে মানুষ ছাতা মাথায় যে যার কর্মস্থলে ছুটে চলেছেন। প্রচণ্ড বাতাসে ছাতা উল্টে যাওয়ার দৃশ্যও দেখা গেছে।

Advertisement

সকালে মিরপুর ও কালশী বাসস্ট্যান্ডে বিভিন্ন রুটে গণপরিবহন সংকট দেখা গেছে। তবে বেলা ১১টায় সড়কে বাসের সংখ্যা বেড়েছে। অন্যদিকে বৃষ্টির অজুহাতে রিকশাচালকরা বেশি ভাড়া হাকছেন বলে যাত্রীরা অভিযোগ করেছেন।

অনেক এলাকায় যাত্রীদের গণপরিবহনের অপেক্ষায় দোকান ও মার্কেটের নিচে অবস্থান করতে দেখা গেছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন সবাই।

বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র জসিম বলেন, আধ ঘণ্টা ধরে বাসের জন্য অপেক্ষা করছি, কিন্তু বাস আসছে না। চেকাররাও টিকিট দিচ্ছে না। রাজধানী, অছিম নর্দা, বাড্ডাগামী গাড়ির সংকট রয়েছে।

Advertisement

অছিম পরিবহনের টিকিট চেকার বলেন, সকালে যাত্রীর চাপ বেশি ছিল। গাড়ি কম ছিল, অনেকেই সকালে বাস বের করেনি। তবে এখন পর্যাপ্ত বাস আছে।

রাজধানী পরিবহনের টিকিট চেকার জাকির বলেন, সকালে বাস কম ছিল। তখন টিকেট নিয়েও অনেকে বাসে উঠতে পারেনি, বাস ভর্তি যাত্রী ছিল। এখন বাস, যাত্রী দুটোই বেশি।

বৃষ্টির কারণে সড়কের বিভিন্ন স্থানে পানি জমতে দেখা গেছে। বৃষ্টির কারণে রাইড শেয়ারিং চালকদের অলস সময় কাটাতে দেখা গেছে।

রাইড শেয়ারিং চালক অর্হ বলেন, বৃষ্টি না হলে এতক্ষণে দুটি রাইড হতো। কিন্তু সকাল থেকে কোনো রাইড পাইনি। যে বৃষ্টি মনে হয় না সারাদিনে যাত্রী পাবো।

Advertisement

এদিকে সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বৃষ্টি ও বাতাসের গতি বাড়বে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝড়ো বাতাস বয়ে যেতে পারে। সে সঙ্গে ৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার পর্যন্ত অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে বলে জানা গেছে।

এসএম/এমআইএইচএস/জিকেএস