ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরবে রাত থেকে ঝড়ো বাতাসসহ গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। ঘরবন্দি সময় পার করছেন খেটে খাওয়া মানুষ। কেউ কেউ গ্রামের চায়ের দোকানগুলোতে বসে গল্প আড্ডা চা পান করে সময় পার করছেন আর বৃষ্টি থামার জন্য অপেক্ষা করছেন।
Advertisement
আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বৃষ্টি ও বাতাসের গতি বাড়ছে। তবে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে এ জেলায় ঝড়সহ ভারি বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে ভৈরব উপজেলা প্রশাসন।
উপজেলার রসুলপুর গ্রামের জেলে রিয়াজ উদ্দিন বলেন, সারারাত বৃষ্টি হয়েছে। তাই নদীতে মাছ ধরতে যেতে পারেনি। আমরা সারাদিন মাছ ধরে যা ইনকাম করি সেই টাকা দিয়ে চাল ডাল কিনে পরিবার চালাই। এখন বৃষ্টি কারণে ঘর থেকেই বের হতে পারছি না কিভাবে নদীতে মাছ ধরতে যাবো।
রিকশাচালক খুশিদ মিয়া বলেন, রাত থেকেই বৃষ্টি থাকার কারণে রিকশা নিয়ে বের হতে পারেনি। আমরা দিনে কাজ যা পায় সেই টাকা দিয়ে সংসার চালাই। এখন তো ঘরবন্দি হয়ে বসে আছি কোনো কাজকর্ম করতে পারছি না।
Advertisement
স্থানীয় কৃষক জামাল মিয়া বলেন, সকালে বৃষ্টিসহ বাতাসের কারণে ঘর থেকেই বের হতে পারছি না। টিভিতে শুনেছি ঘূর্ণিঝড় নাকি আসতেছে তার প্রভাবে সারারাতই বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির কারণে ঘরবন্দি হয়ে আছি।
এ বিষয়ে ভৈরব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.সাদিকুর রহমান সবুজ বলেন, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর প্রভাবে ভৈরব উপজেলায় রাত থেকে শুরু হয়েছে ঝড়ো বাতাস ও গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি। যার ফলে সকাল থেকে খেটে খাওয়া মানুষরা ঘরবন্দি হয়ে পড়েছেন। আবহাওয়া সূত্রে জানা যায় ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে কিশোরগঞ্জ জেলায় ভারি বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
রাজীবুল হাসান/জেএস/এমএস
Advertisement