ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’র প্রভাবে দেশের সাত বিভাগে অতিভারি বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া বৃষ্টির কারণে চট্টগ্রামে হতে পারে পাহাড়ধস।
Advertisement
সোমবার (২৪ অক্টোবর) ভারি বর্ষণের সতর্কবার্তায় এই তথ্য দেয় আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’র প্রভাবে সোমবার সকাল ১০টা থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে চট্টগ্রাম, বরিশাল, খুলনা, ঢাকা, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক স্থানে ভারি (৪৪-৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতিভারি (৮৯ মিলিমিটারের বেশি) বর্ষণ হতে পারে। এর প্রভাবে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও হতে পারে ভূমিধস।
‘সিত্রাং’ বাংলাদেশের উপকূলের কাছাকাছি আসায় এরইমধ্যে মোংলা ও পায়রা বন্দরকে ৭ নম্বর বিপৎসংকেত এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপৎসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
Advertisement
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় বিক্ষুব্ধ রয়েছে সাগর।
দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫-৮ ফুটের বেশি উচ্চতায় জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
সোমবার সকালে আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৫২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল ‘সিত্রাং’।
এটি আরও ঘনীভূত ও উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে মঙ্গলবার ভোররাত বা সকাল নাগাদ খেপুপাড়ার কাছ দিয়ে বরিশাল-চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করতে পারে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
Advertisement
এরইমধ্যে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় অঞ্চলসহ দেশের অন্যান্য অঞ্চলে বৃষ্টি হচ্ছে। বইছে ঝোড়ো হওয়া।
আরএমএম/জেডএইচ/এমএস