ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ আঘাত হানতে চলেছে বাংলাদেশের উপকূলে। এরই মধ্যে ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ বাংলাদেশের উপকূলের ৫০০ কিলোমিটারের মধ্যে চলে এসেছে।
Advertisement
মোংলা ও পায়রা বন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপৎসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
প্রকৃতিসৃষ্ট এসব দুর্যোগ মোকাবেলায় সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে সবাইকে। তাই ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস পাওয়ার পরপরই কয়েকটি কাজ সম্পন্ন করুন, তাহলে সুরক্ষিত থাকতে পারবেন-
>> বাড়িতে প্রাথমিক চিকিৎসার সরঞ্জাম যেমন- ব্যান্ডেজ, অ্যান্টিসেপটিক প্রভৃতি রাখুন।
Advertisement
>> ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রে অথবা অন্য কোথাও আশ্রয় নিতে যাওয়ার সময় সঙ্গে কী কী নেবেন সেই তালিকা আগেই করে রাখুন।
>> মূল্যবান কাগজপত্র, গয়না কিংবা টাকা-পয়সা ঘরের মধ্যে অথবা বাড়ির কোনো নির্দিষ্ট জায়গায় পাকা গর্ত করে রাখুন।
>> ঘূর্ণিঝড়ের প্রস্তুতি হিসেবে শুকনো খাবার সংরক্ষণ করে রাখুন। চিড়া, মুড়ি, বিস্কুট ইত্যাদি সংরক্ষণ করে রাখুন আগেই।
>> নোংরা পানি কীভাবে ফিটকিরি ও ফিল্টার দ্বারা খাবার ও ব্যবহারের উপযোগী করা যায় সে বিষয়ে পরিবারের সবাইকে প্রশিক্ষণ দিন।
Advertisement
>> ঘূর্ণিঝড়ের আগে মোবাইল ফোন এমনকি ল্যাপটপও ফুল চার্ট দিয়ে রাখুন। কারণ ঘূর্ণিঝড়ের পরে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে।
>> ঝড়ের সময় বড় ড্রাম কিংবা বালতিতে যতটা সম্ভব পানি ধরে রাখুন। কারণ ঘূর্ণিঝড়ের পরে পানির লাইনও সাময়িক বন্ধ থাকতে পারে।
>> হাতের কাছে পর্যাপ্ত মোমবাতি, গ্যাস লাইট ইত্যাদি রাখুন। ঘূর্ণিঝড় শুরু হয়ে গেলে বাড়ির সমস্ত বৈদ্যুতিক সামগ্রী থেকে বৈদ্যুতিক লাইন বিচ্ছিন্ন করুন।
>> ঘূণিঝড়ের সংবাদ জানার চেষ্টা করুন।
জেএমএস/জিকেএস