ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে ভারি বর্ষণ শুরু হয়েছে। সেই সঙ্গে খুলনার নদ-নদীগুলোতে বেড়েছে জোয়ারের পানির চাপ। ইতোমধ্যে উপকূলীয় উপজেলা কয়রার সাতবাড়িয়া নদীর বেড়িবাঁধে ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে।
Advertisement
কয়রা সদর ইউনিয়নের হাফিজুর রহমান জানান, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ে প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় রাত থেকেই ভারি বর্ষণ শুরু হয়েছে। সেই সঙ্গে উপকূলের কপোতাক্ষ নদ ও সাকবাড়িয়া নদীর জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। জোয়ারের চাপে সাতবাড়িয়া নদীর হরিনখোলা বেড়িবাঁধে মারাত্মক ভাঙন দেখা দিয়েছে। দুপুরের জোয়ারের আগে বাঁধ মেরামত করতে না পারলে দেরি করে চাষ করা আমন ফসল, ঘরবাড়ি সব আবার নোনা পানিতে প্লাবিত হবে।
খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য মো. আক্তারুজ্জামান বাবু বলেন, রাতে হরিনখোলা এলাকার বাঁধ মেরামত করার জন্য চেষ্টা চলছে।
তিনি আরও বলেন, উপজেলার আরও কয়েকটি এলাকার বেড়িবাঁধ খুব ঝুঁকিপূর্ণ। সবাইকে বাঁধগুলোর বিষয়ে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
Advertisement
এদিকে খুলনা মহানগরীতে দীর্ঘদিন ধরে অত্যন্ত ধীরগতিতে চলমান ড্রেন উন্নয়ন কাজের কারণে বৃষ্টির পানি আটকে গিয়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
খুলনা সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে চলছে ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন কাজ অন্যদিকে খুলনা ওয়াসা কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে চলছে সুয়ারেজ সিস্টেম এর কাজ। এসব উন্নয়ন কাজে নিয়োজিত ঠিকাদাররা সড়কগুলোর ড্রেনের জায়গা খুড়ে কাদামাটি সড়কের ওপরে রেখে একদিকে যেমন যান চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করেছে অন্যদিকে নগরবাসীকে স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিয়েছে।
আলমগীর হান্নান/আরএইচ/এমএস
Advertisement