দেশজুড়ে

বন্দরে পণ্য ওঠানামা বন্ধ, প্রস্তুত ১০৩ আশ্রয়কেন্দ্র

মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৫২৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। আর তাই আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী মোংলা বন্দরে ৭ নম্বর বিপৎসংকেত জারি রয়েছে। গতকাল রাত ৯টায় ৪ নম্বর হুশিয়ারি সতর্ক জারির পর মধ্যরাত থেকেই ঝড় বৃষ্টি শুরু হয় মোংলায়।

Advertisement

সোমবার (২৪ অক্টোবর) ভোর থেকে ঝড়ের তীব্রতা ও বাতাসের গতিও বাড়তে শুরু করেছে। ভোর ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত মোংলায় ২৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। আর মোংলা বন্দরসহ সংলগ্ন উপকূলীয় এলাকায় বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বলে জানিয়েছেন মোংলা আবহাওয়া অফিস ইনচার্জ অমরেশ চন্দ্র ঢালী। তিনি বলেন, বিপৎসংকেত জারির পর থেকে ভারী বৃষ্টিপাত ও ঝড় শুরু হয়েছে।

ঝড় বৃষ্টি বাড়ায় লোকজনের মধ্যে ভীতি ও আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। ভয়ে কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। কিন্তু সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান খোলা থাকায় চাকরিজীবিরা ঝড় বৃষ্টি উপেক্ষা করে কর্মস্থলে ছুটছেন। শহরের সব দোকানপাট বন্ধ রয়েছে।

এদিকে আবহাওয়া খারাপ হতে থাকায় বন্দরে অবস্থানরত দেশি-বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজের পণ্য বোঝাই-খালাস ও পরিবহণের কাজ সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছেন বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব (বোর্ড ও জনসংযোগ বিভাগ) কালাচাঁদ সিংহ। তিনি বলেন, সকাল ১০টায় জরুরি বৈঠক শেষে প্রয়োজনীয় করণীয় সম্পর্কে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এরই মধ্যে বিদেশী জাহাজসহ সবে নৌযানকে সতর্কতাবস্থায় থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কমলেশ মজুমদার বলেন, মোংলা পৌর শহরে ৩২টিসহ উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের মোট ১০৩টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ব্যবস্থা করা হচ্ছে কেন্দ্রগুলোতে শুকানো খাবারেরও। তবে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হচ্ছে জয়মনিরঘোল, কাইনমারী, কানাইনগর ও শেলাবুনিয়া। এসব এলাকায় বেশি সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে সবাইকে।

আবু হোসাইন সুমন/জেএস/জিকেএস