বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করা গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে বরিশালে থেমে থেমে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। সেইসঙ্গে আকাশ রয়েছে মেঘাচ্ছন্ন। রোববার (২৩ অক্টোবর ) দুপুর সোয়া ১২টার দিকে বৃষ্টি শুরু হয়। এরপর থেকে থেমে থেমে চলছে বৃষ্টিপাত। সঙ্গে হালকা বাতাসও বইছে।
Advertisement
এদিকে, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের সম্ভাব্য ক্ষতি মোকাবিলায় বরিশালে প্রস্তুত করা হয়েছে ৫৪১টি আশ্রয়কেন্দ্র। এছাড়া আশ্রয়কেন্দ্রে পর্যাপ্ত খাবার, শিশুখাদ্য ও সুপেয় পানি রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে ২ লাখ ৬৮ হাজার ৯৯০ জন মানুষ আশ্রয় নিতে পারবেন।
এ বিষয়ে বরিশালের জেলা প্রশাসক মো. জসীম উদ্দীন হায়দার বলেন, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং মোকাবিলায় বিকেলে বরিশাল জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সভা থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। বিশেষ করে জেলার ১ হাজার ৫১টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। যেখানে বিপদসংকেত পাওয়া মাত্র ২ লাখ ৪০ হাজার মানুষ আশ্রয় নিতে পারবেন। আশ্রয়কেন্দ্রে পর্যাপ্ত খাবার, শিশুখাদ্য, সুপেয় পানি ও পরিচ্ছন্ন বাথরুমের ব্যবস্থা রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, দুর্যোগ মোকাবিলায় জেলার সব উপজেলার ইউএনও এবং উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। তাদের কর্মস্থল ত্যাগ করতে নিষেধ করা হয়েছে। এছাড়া দুর্যোগের সময় করণীয় বিষয়গুলো জানিয়ে মাইকিং করে সচেতনতামূলক বার্তা প্রচার করতে বলা হয়েছে।
Advertisement
এদিকে, বরিশাল আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র অবজারভার মো. রুবেল জাগো নিউজকে বলেন, বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করা সুস্পষ্ট নিম্নচাপটি রোববার রাতে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে এটি আগামী মঙ্গলবার ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলে আঘাত হানতে পারে। তবে কেমন শক্তি নিয়ে এটি আঘাত হানবে, তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।
তিনি বলেন, নিম্নচাপের প্রভাবে বরিশালে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। এ কারণে রাতে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে এক থেকে দুই ডিগ্রি কমতে পারে। এর প্রভাবে আগামী দুই-তিন দিন ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) গেজ রিডার আব্দুর রহমান বলেন, এখন পর্যন্ত নদ-নদীর পানি স্বাভাবিক রয়েছে। গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত হানার সম্ভাবনা রয়েছে। অমাবশ্যার কারণে ও সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ভারী বৃষ্টিপাত ও বাতাসের পাশাপাশি উপকূলীয় অঞ্চলের নদ-নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সাইফ আমীন/এমআরআর/জিকেএস
Advertisement