দেশজুড়ে

সিত্রাং মোকাবিলায় লক্ষ্মীপুরে ১৮৫ আশ্রয়কেন্দ্র, ৬৬ মেডিকেল টিম

বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপ থেকে সৃষ্ট হতে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে লক্ষ্মীপুরে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। এ ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় জেলায় ১৮৫ আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত ও ৬৬ মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।

Advertisement

রোববার (২৩ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে জরুরি সভা ডেকে জেলা প্রশাসক আনোয়ার হোসেন আকন্দ এ তথ্য জানিয়েছেন।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ নূর-এ আলমের সঞ্চালনায় এসময় সিভিল সার্জন আহম্মদ কবির, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) পলাশ কান্তি নাথ, পরিবার-পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক আশফাকুর রহমান মামুনসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির এ সভায় জানানো হয়, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে মেঘনা নদীতে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে তিন থেকে পাঁচ ফুট উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে জেলার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে। এর থেকে মানুষ ও গবাদি পশু রক্ষায় সব ধরনের প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে। দুর্গম এলাকা থেকে মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে আনার জন্য নদী এলাকায় মাইকিং করা হবে। যারা নদীতে আছেন তাদেরকে দ্রুত লোকালয়ে আনার জন্য নৌ-পুলিশ ও কোস্টগার্ডকে বলা হয়েছে। নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য সাইক্লোন শেল্টারসহ ১৮৫ টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের আগে ও পরে মানুষকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেওয়ার জন্য ৩ হাজার ২৮০ জন স্বেচ্ছাসেবক কাজ করবেন। ৬৬টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রয়েছে। জেলার সরকারি অ্যাম্বুলেন্সগুলো প্রস্তুত রাখার জন্য বলা হয়েছে।

Advertisement

সভায় আরও জানানো হয়, ২৬০ মেট্রিকটন চাল, এক হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার, ৬০০ কার্টন বিস্কুট সংরক্ষণ করা হয়েছে। ৫ লাখ ৮৩ হাজার টাকা বরাদ্দ রয়েছে। উপজেলার প্রত্যেক কর্মকর্তা কর্মচারীদের পরবর্তী নির্দেশনা পর্যন্ত কর্মস্থল এলাকায় থাকতে বলা হয়েছে। প্রত্যেকটি উপজেলায় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সাহায্য ডেস্ক চালু করে দ্রুত সময়ের মধ্যে মোবাইল নম্বরগুলো জানিয়ে দেওয়া হবে। ঘূর্ণিঝড়ে নদী তীরে ভাঙন বেড়ে যায়। ভাঙন থেকে উপকূল রক্ষায় জিও ব্যাগ প্রস্তুত রাখতে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে বিদ্যুৎ বিভাগকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

কাজল কায়েস/এমআরআর/জিকেএস