বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হতে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাব এরই মধ্যেই পিরোজপুরে পড়তে শুরু করেছে। রোববার (২৩ অক্টোবর) সকাল থেকেই জেলাজুড়ে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। সময় যতই গড়াচ্ছে থেমে থেমে বৃষ্টির প্রভাব ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে।
Advertisement
এদিকে, সিত্রাং মোকাবিলায় জেলার সাত উপজেলায় ২৬০টি আশ্রয়কেন্দ্র এবং ১৭৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় তিন লাখ লোক আশ্রয় নিতে পারবেন। এছাড়া প্রাথমিক পর্যায়ে ২ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার, ২৫০ মেট্রিক টন চাল ও নগদ এক লাখ টাকা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। রেড ক্রিসেন্টের শতাধিক স্বেচ্ছাসেবককে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া ৬৩টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
রোববার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং মোকাবিলায় পিরোজপুর জেলা প্রশাসনের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির প্রস্তুতি সভায় এ তথ্য জানান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান।
সভায় পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান, জেলার সাত উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, রেডক্রিসেন্ট ও বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
Advertisement
এদিকে, জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা, বড়মাছুয়া এবং ইন্দুরকানী উপজেলার টগরা ফেরিঘাট এলাকার প্রায় ২৩ কিলোমিটার বেরিবাঁধ অরক্ষিত আছে স্বীকার করে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহাবুবে মেহেদী হাসান বলেন, মঠবাড়িয়ার খেতাছিড়া, কঁচুবাড়িয়া, বড়মাছুয়া ভাঙন এলাকায় কিছু গাইড ওয়াল করা হয়েছে। এছাড়া ৮৩০ কিলোমিটার এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙনরোধের চেষ্টা করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের হাতে বেশকিছু জিও ব্যাগ প্রস্তুত আছে, যা জরুরি কাজে ব্যবহার করা হবে।
এমআরআর/জিকেএস
Advertisement