বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে নদী উত্তাল থাকায় নোয়াখালী দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার সঙ্গে সব ধরনের নৌ-যোগাযোগ বন্ধ রাখা হয়েছে। রোববার (২৩ অক্টোবর) বিকেল ৩টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এটি কার্যকর থাকবে বলে জানিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
Advertisement
হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সেলিম হোসেন বলেন, আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে তিন নম্বর স্থানীয় সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। নদী উত্তাল থাকায় জনগণের জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে হাতিয়ার সঙ্গে সারাদেশের নৌ-চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
নোয়াখালী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, নিম্নচাপের প্রভাবে রোববার সকাল থেকে জেলার বিভিন্ন স্থানে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। রাতের দিকে তা আরও বাড়তে পারে।
তিনি আরও বলেন, রোববার মধ্যরাতে গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। আগামীকাল সোমবার সন্ধ্যার দিকে তা আরও শক্তি সঞ্চয় করে উপকূলের দিকে ধেয়ে আসতে পারে। পরদিন মঙ্গলবার ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ ভোরের মধ্যে উপকূলে আঘাত হানতে পারে।
Advertisement
আবহাওয়া অধিদপ্তরের ৫ নম্বর সতর্ক সংকেতে বলা হয়েছে, নিম্নচাপটি দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৭১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছে। এটি আরও ঘনীভূত হয়ে দিক পরিবর্তন করে উত্তর দিকে অগ্রসর হতে পারে। এর ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা গতিবেগ ৫০ কিলোমিটার, যা দমকা হাওয়া আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
নোয়াখালী জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় ৪০১ আশ্রয়ণ কেন্দ্র খুলে দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে উপকূলে আট হাজার ৩৮০ জন স্বেচ্ছাসেবককে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পর্যাপ্ত পরিমাণে শুকনো খাবার মজুত রাখা হয়েছে।
ইকবাল হোসেন মজনু/আরএইচ/জিকেএস
Advertisement