কথার জাদু দিয়ে মুগ্ধতা ছড়িয়ে মানুষের হৃদয় জয় করেছেন হানিফ সংকেত। একাধারে উপস্থাপক, পরিচালক, অভিনেতা, প্রযোজক, লেখক, নির্মাতা-এমন নানামাত্রিক গুণের অধিকারী তিনি। তার জনপ্রিয়তা এখনো বহমান।
Advertisement
আজ নন্দিত এই মানুষটির জন্মদিন। জাগো নিউজের পক্ষ থেকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা।
১৯৫৮ সালের ২৩ অক্টোবর বরিশালে জন্মগ্রহণ করেন হানিফ সংকেত। প্রয়াত ফজলে লোহানীর ‘যদি কিছু মনে না করেন’ ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান দিয়ে তিনি খ্যাতি লাভ করেন। এরপর দেশের ইতিহাসে সর্বাধিক জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’ নিয়ে হাজির হন। এখনো তিনি স্যাটেলাইট চ্যানেলের রাজত্বে ‘ইত্যাদি’ নিয়ে ম্যাগাজিন অনুষ্ঠানের উপস্থাপক হিসেবে রাজত্ব করে চলেছেন। তার পরিচালিত ও উপস্থাপিত অনুষ্ঠান ইত্যাদিতে তিনি সামাজিক অসঙ্গতি, দুর্নীতিবিরোধী কার্যক্রম তুলে ধরেন।
কিছুটা রম্যভাবে তিনি সমসাময়িক নিন্দিত ঘটনার বর্ণনা ও তার বিরোধিতা করে সামাজিক করণীয় তুলে ধরেন। হানিফ সংকেত নিজের কাজের ব্যাপারে খুব সচেতন একজন মানুষ।
Advertisement
নাটক পরিচালনায়ও হানিফ সংকেত দেখিয়েছেন নির্মাণের মুন্সিয়ানা। তার পরিচালিত জনপ্রিয় নাটকের মধ্যে ‘আয় ফিরে তোর প্রাণের বারান্দায়’, ‘দুর্ঘটনা’, ‘তোষামোদে খোশ আমোদে’, ‘কিংকর্তব্য’, ‘কুসুম কুসুম ভালোবাসা’, ‘শেষে এসে অবশেষে’ উল্লেখযোগ্য।
চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন হানিফ সংকেত। বেশ কয়েকটি ব্যঙ্গ ও রম্য রচনা লিখেছেন তিনি। ‘চৌচাপটে’, ‘এপিঠ ওপিঠ’, ‘ধন্যবাদ’, ‘অকাণ্ড কাণ্ড’, ‘খবরে প্রকাশ’, ‘ফুলের মতো পবিত্র... ’, ‘প্রতি ও ইতি’, ‘আটখানার পাটখানা’ অন্যতম। এ ছাড়া তার লিখিত রম্য সাহিত্য পাঠক সমাজে ব্যাপক জনপ্রিয়।
সামাজিক কার্যক্রমের জন্য ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১০ সালে একুশে পদক লাভ করেন হানিফ সংকেত। পরিবেশ শিক্ষা ও প্রচারের জন্য ২০১৪ সালে জাতীয় পরিবেশ পদক দেওয়া হয় তাকে। এ ছাড়া তিনি দেশ-বিদেশে বহু পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।
এমআই/এমএমএফ/এমএস
Advertisement