যুক্তরাজ্যের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার প্রতিযোগিতায় এগিয়ে আছেন ঋষি সুনাক। তবে কম যাচ্ছেন না দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনও। এমন পরিস্থিতিতে মুখোমুখি বৈঠক করেছেন কনজারভেটিভ পার্টির (টোরি) সম্ভাব্য এ দুই প্রতিদ্বন্দ্বী। স্থানীয় সময় শনিবার (২২ অক্টোবর) বৈঠকে বসেন তারা।
Advertisement
জানা যায়, শনিবারই ক্যারিবীয় অঞ্চল থেকে অবকাশযাপন শেষে লন্ডনে ফেরেন বরিস জনসন। লন্ডনে ফেরার কিছুক্ষণ পরেই দ্বিতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে তোড়জোড় শুরু করেন তিনি। সে প্রচেষ্টার অংশ হিসেবেই ঋষি সুনাকের সঙ্গে বৈঠক করেন বরিস।
শনিবার রাত ১০টার দিকে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে তারা পার্টির অন্তর্কোন্দল এড়াতে যৌথভাবে নির্বাচন করার বিষয়ে আলোচনা করেন। তবে তারা চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কি না, তা এখনো জানা যায়নি।
এদিকে, কনজাভেটিভ পার্টির নতুন নিয়মে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হওয়ার জন্য কমপক্ষে ১০০ এমপির সমর্থন প্রয়োজন হয়। যারা প্রধানমন্ত্রিত্বের দৌড়ে অংশ নিতে ইচ্ছুক, তাদের সোমবারের (২৪ অক্টোবর) মধ্যে এ সমর্থন নিশ্চিত করতে হবে।
Advertisement
এরই মধ্যে শতাধিক সংসদ সদস্যের সমর্থন পেয়ে প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে অনেকটা এগিয়ে গেছেন ঋষি সুনাক। তবে বরিস জনসন কিংবা ঋষি সুনাক কেউই এখনো প্রকাশ্যে প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হওয়ার কথা ঘোষণা করেননি।
গত বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) মাত্র ৪৫ দিনের মাথায় যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন লিজ ট্রাস। এরপরই পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী কে হবেন তা নিয়ে শুরু হয় ব্যাপক আলোচনা।
জানা গেছে, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ শুরু হবে আগামীকাল সোমবার। চূড়ান্ত নির্বাচন হবে শুক্রবার (২৮ অক্টোবর)। ওই দিনই জানা যাবে কে হচ্ছেন দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী।
গত জুলাই মাসে বরিসের ক্ষমতাকালে অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেন ঋষি সুনাক। অনেকের মতে, সে সময় সুনাকের পদত্যাগ বরিসকে ক্ষমতাচ্যুত করার বিদ্রোহকে উসকে দিয়েছিল।
Advertisement
এদিকে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরা জানায়, বরিস জনসন মাত্র ৫৩ জন এমপির সমর্থন পেয়েছেন। অন্যদিকে ঋষি সুনাক ১২৮ জন এমপির সমর্থন পেয়েছেন। এতে স্বাভাবিকভাবেই প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে আছেন সুনাক।
এছাড়া দেশটির সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী পেনি মরডন্ট মাত্র ২৩ জন এমপির সমর্থন পেয়েছেন। এরপরও তিনি প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেবেন বলে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছেন।
সূত্র: ব্লুমবার্গ
এসএএইচ