দেশজুড়ে

ভোট না দেওয়ায় টাকা ফেরত চেয়ে ভোটারকে মারধর

চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলার জোড়পুল সিএনজি পরিবহন শ্রমিক সমবায় সমিতি লিমিটেড ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচনে ভোট না দেওয়া ও ভোটের জন্য দেওয়া টাকা ফেরত চেয়ে এক ভোটারকে জনসম্মুখে মারধরের ঘটনা ঘটেছে।

Advertisement

শনিবার (২২ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার জোড়পুল বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। রক্তাক্ত অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন স্থানীয়রা।

আহত ব্যক্তির নাম হালিম কাজী (৩০)। তিনি নারায়ণপুর পৌরসভার মনিগাঁও গ্রামের লুৎফর রহমান কাজীর ছেলে।

অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম এমরান সরদার। তিনি জোড়পুল সিএনজি পরিবহন শ্রমিক সমবায় সমিতি লিমিটেড ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচনে সহ-সভাপতি প্রার্থী।

Advertisement

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার বিকেলে শেষ হয় জোড়পুল সিএনজি পরিবহন শ্রমিক সমবায় সমিতি লিমিটেড ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচন। নির্বাচনে সহ-সভাপতি পদে প্রার্থী ছিলেন কাশিমপুর গ্রামের দিঘির পাড় এলাকার আবুলের ছেলে এমরান সরদার। নির্বাচনে ২৫৯ জন ভোটার ভোট দিলেও এমরান সরকার পান ১০৬টি ভোট। এতে ওই প্রার্থী সন্দেহ করেন হালিম কাজি তাকে ভোট দেননি।

প্রার্থীর অভিযোগ, হালিম আরও ২৪টি ভোট তাকে পাইয়ে দেবেন বলে তার কাছ থেকে টাকা নেন। কিন্তু সেসব ভোট তিনি ম্যানেজ করে দিতে পারেননি।

নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণার পর এমরান সরদারের নেতৃত্বে ১০-১৫ জন এসে হালিম কাজিকে কেন্দ্রের সামনে থেকে জোড়পুল মধ্য বাজার ধরে নিয়ে যান। সেখানে তাকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা করা হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে এমরান সরদার বলেন, ‘নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর আমি একটু রেগে যাই। হালিম আমাকে ভোট দেয়নি। আরও ২৪টি ভোটের দায়িত্ব নিয়েও আমাকে ভোট দেয়নি। তাই তার ওপর রাগ করে তার কলার ধরি। তবে এ সময় সে সামান্য আঘাত পেয়েছে বলে জানতে পেরেছি। আমি তার খোঁজখবর নিচ্ছি।’

Advertisement

তিনি আরও বলেন, যদি প্রয়োজন হয় তার সঙ্গে দেখা করে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করবো। তবে বাকি যে ২৩ জন তাকে ভোট দেননি তাদের টাকা ফেরত চান এমরান সরদার।

এ বিষয়ে মতলব দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন মিয়া বলেন, এ ঘটনায় এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নজরুল ইসলাম আতিক/এসআর/জেআইএম