ক্যাম্পাস

রামেকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দেবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন

শিক্ষার্থী গোলাম মুস্তাক শাহরিয়ারের মৃত্যুর ঘটনায় চিকিৎসায় অবহেলা ও ছাত্রদের ওপর হামলা করার অভিযোগে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) প্রশাসন।

Advertisement

শুক্রবার (২১ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪টায় উপাচার্যের কনফারেন্স রুমে এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

শনিবার (২২ অক্টোবর) মতিহার অথবা রাজপাড়া থানায় এ অভিযোগ করা হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক ড. প্রদীপ কুমার পান্ডে।

জরুরি সভায় সভাপতিত্ব করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার। সভায় শিক্ষার্থী শাহরিয়ারের মৃত্যুর ঘটনায় হল কর্তৃপক্ষকে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছে রাবি প্রশাসন। সেইসঙ্গে সোমবার (২৪ অক্টোবর) হবিবুর রহমান হল প্রাধাক্ষ্যকে সন্ধ্যা ৬টায় শোকসভার আয়োজন করতে বলা হয়েছে।

Advertisement

এদিকে চিকিৎসায় অবহেলা, শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও মৃত্যুর সার্বিক ঘটনাসহ যাবতীয় বিষয় তদন্ত করার জন্য ৯ সদস্যবিশিষ্ট আরও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. ইলিয়াস হোসেনকে আহ্বায়ক ও প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আসাবুল হককে সদস্য সচিব করা হয়েছে।

অন্য সদস্যরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. দুলার চন্দ্র বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক ড. মো. কুদরত-ই-জাহান, মার্কেটিং বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মো. ফরিদুল ইসলাম, সহকারী প্রক্টর আরিফুল ইসলাম, হবিবুর রহমান হল প্রাধক্ষ্য ও বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. শাহেদ জামান।

অভিযোগ দেওয়ার পর মামলা করা হবে কি না জানতে চাইলে জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক ড. প্রদীপ কুমার পান্ডে বলেন, ‘আমরা এখই মামলা করছি না। এই ঘটনার সঙ্গে যেসব চিকিৎসক, কর্মকর্তা, আনসার সদস্যরা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করছি। আইন অনুযায়ী প্রশাসন সেটার ব্যবস্থা নেবে।’

বুধবার (১৯ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮ টার দিকে রাবির হবিবুর রহমান হলের তৃতীয় তলার বারান্দা থেকে পড়ে আহত হন মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার। পরে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। তবে চিকিৎসা দিতে দেরি হওয়ার ওই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ করেন সহপাঠীরা। একপর্যায়ে সেখানে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে হাসপাতালে কর্মরত ইন্টার্ন চিকিৎসক, কর্মকর্তা ও আনসার সদস্যদের হাতাহাতি ও ভাঙচুর চালানো হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন।

Advertisement

মনির হোসেন মাহিন/এসআর/এএসএম