জাতীয়

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কোন্নয়নে গণমাধ্যমের ভূমিকা রয়েছে: স্পিকার

জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ভারতের তৎকালীন সরকারপ্রধান ইন্দিরা গান্ধীর কূটনৈতিক প্রজ্ঞা ও আদর্শিক নেতৃত্বই দুদেশের ঐতিহাসিক সম্পর্কের ভীত স্থাপন করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এ সম্পর্ক আরো প্রতিষ্ঠিত ও সুসংহত হয়।

Advertisement

তিনি বলেছেন, মুজিব শতবর্ষের অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফর দুদেশের ঐতিহাসিক সম্পর্ককে জোরদার করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি, ভারতের সঙ্গে স্থলসীমানা চুক্তি ইত্যাদি কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। বিবিআইএন (বাংলাদেশ, ভুটান, ইন্ডিয়া, নেপাল), বিমসটেক (বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টরাল, টেকনিকাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশন) ইত্যাদি বিষয়ে উভয় দেশ কীভাবে আরও উপকৃত হতে পারে সেক্ষেত্রে দুদেশের গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। দুদেশের সম্পর্কে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে গণমাধ্যমের ভূমিকা রয়েছে। বাংলাদেশ ভারতের সম্পর্ক কীভাবে সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সুসংহত করা যায় সে বিষয়ে দুদেশের গণমাধ্যমকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান স্পিকার।

বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের ৬৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আব্দুস সালাম হলে আয়োজিত ‘রোল অব মিডিয়া ইন বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া রিলেশন্স: চ্যালেঞ্জেস অ্যান্ড প্রসপেক্টস’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন স্পিকার।

স্পিকার বলেন, বৈশ্বিক সংকটময় রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ ও ভারত শুধু ভৌগোলিক সীমান্তেই আবদ্ধ নয়, পঞ্চাশ বছর ধরে দু’দেশের শিল্প, সাহিত্য, যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ নানাক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা লক্ষ্যণীয়। বাংলাদেশের সব চাইতে পুরনো বন্ধু ভারত। মহান মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশকে অকুণ্ঠ সমর্থন দেওয়ার পাশাপাশি নিরীহ মানুষের ওপর পাকিস্তানের বর্বর গণহত্যার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয় ভারত। মুক্তিযুদ্ধকালীন এদেশের প্রায় এক কোটি শরণার্থীকে আশ্রয় দেয় ভারত। ভারতীয় গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজ গণহত্যার খবর বিশ্বে ছড়িয়ে দেয়। ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর ভারত বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়ার মধ্যদিয়ে নতুন সম্পর্কের সূচনা হয়।

Advertisement

শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে হানাদার বাহিনী প্রেস ক্লাবে মর্টার শেল নিক্ষেপ করেছিল এবং অপারেশন সার্চলাইটের সময়ে প্রেস ক্লাব ভবন বিধ্বস্ত হয়ে যায়। সব আন্দোলন সংগ্রামে কখনো আপস না করে মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তচিন্তার বাতিঘর জাতীয় প্রেস ক্লাব। জাতীয় প্রেস ক্লাব গণতন্ত্রের আধার, অসাম্প্রদায়িক গতিশীল চেতনার ধারক, স্বাধীন বাংলাদেশের অস্তিত্বের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এ প্রতিষ্ঠান এখনো দেশের মানুষের ভরসার স্থল।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে সেমিনারের সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সম্পাদক পরিষদের সভাপতি ও দ্যা ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম, ভারতীয় সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি গীতার্থ পাঠক, প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান প্রমুখ।

এইচএস/এমএএইচ/জেআইএম

Advertisement