১৮৩ রানের লক্ষ্য। অসম্ভব এক লক্ষ্যই যে কোন দলের সামনে। কিন্তু এই অসম্ভবকেই সম্ভব করে তুলছিল সাকিব আল হাসানের দল করাচি কিংস। সাকিব নিজে ব্যাট হাতে ব্যর্থ হলেও জেমস ভিন্স আর রবি বোপারার দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের ওপর ভর করে এই অসম্ভব লক্ষ্যও পার হয়ে যাচ্ছিল করাচি। ১৯ ওভারেই তারা ৭ উইকেটে তুলে ফেলেছিল ১৭০ রান।শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শেষ ওভারে জয়ের জন্য করাচির প্রয়োজন মাত্র ১৩ রান। উইকেটে তখন পুরোপুরি সেট হয়ে যাওয়া ইংলিশ অলরাউন্ডার রবি বোপারা। যার ব্যাট থেকে ইতিমধ্যে ৩০ বলে এসে গেছে টর্নেডো গতির ৫৯ রান। পেশোয়ার জালমির অধিনায়ক শহিদ আফ্রিদি শেষ ওভারটা করার জন্য বল তুলে দিলেন ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার ড্যারেন স্যামির হাতে।প্রথম বলেই স্যামিকে ছক্কা মেরে দিলেন রবি বোপারা। ম্যাচের নাটক জমে উঠলো আরও বেশি। তবে, এই ছক্কায় যে করাচির জয়টা নিশ্চিত হয়ে যাচ্ছে, সেটাই বোঝা গেল। কিন্তু ক্রিকেটে শেষ বল পর্যন্ত যে ভাগ্য বলে ভবিষ্যদ্বানী করতে নেই! নাটের শেষ অংকটা জমিয়ে দিলেন ড্যারেন স্যামিই।ছক্কা খেয়েও দমে গেলেন না তিনি। ৫ বলে ৭ রান প্রয়োজন। তাতে কী! ওভারের দ্বিতীয় বলেই যে তিনি তুলে নিলেন ভয়ঙ্কর বোপারার উইকেট। বাউন্ডারি মারতে গিয়ে বোপারা ক্যাচ তুলে দেন শহিদ ইউসুফের হাতে। ৩৩ বলে ৬৭ রানের যবনিকাপাত ঘটে গেলো। সে সঙ্গে করাচির নিশ্চিত জয়টাও বুঝি শঙ্কার কালো মেঘে ঢেকে গেলো!গেলোই। কারণ, ড্যারেন স্যামির বুদ্ধিদীপ্ত বোলিং শেষ পর্যন্ত তামিম ইকবাল-শহিদ আফ্রিদির দল পেশোয়ার জালমিকে জিতিয়ে দিল মাত্র ৩ রানের ব্যবধানে। শেষ ৪ বলে উইকেট পড়লো আরও একটি। শেষ বলে প্রয়োজন ছিল ৪ রান। মোহাম্মদ আমির ব্যাট করতে এলেও পারেননি বলে টাচ করতে।শ্বাসরূদ্ধকর এই জয়ের ফলে পয়েন্ট টেবিলেও পেশোয়ার জালমি উঠে গেলো শীর্ষে। ৪ ম্যাচ থেকে তাদের অর্জন ৬ পয়েন্ট। কোয়েটা কালান্দার্সের পয়েন্টও ৬। তবে রান রেটের হিসেবে এগিয়ে রইল পেশোয়ারই।এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে মোহাম্মদ হাফিজের ৫৯, তামিম ইকবালের ৩৭ এবং কামরান আকমলের ৩০ রানের ওপর ভর করে করাচির সামনে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৮২ রানের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয় পেশোয়ার জালমি।আইএইচএস/পিআর
Advertisement