চাহিদা বাড়লেও বরাদ্দ কমে অর্ধেকে নেমে আসায় পাবনার চাটমোহরে খোলা বাজারে (ওএমএস) অনেকেইে চাল কিনতে পারছেন না। এতে দীর্ঘসময় লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও শেষ পর্যন্ত খালি হাতে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে অনেককে। শুধু তাই নয়, বরাদ্দ না থাকায় বিক্রি হচ্ছে না আটা।
Advertisement
ওএমএসের বিক্রয় কেন্দ্রগুলোতে সপ্তাহে পাঁচদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এ চাল বিক্রি করার কথা। তবে পাবনার চাটমোহর পৌর সদরের ডিলাররা জানান, বিক্রয়কেন্দ্র খুলতে না খুলতেই অল্প সময়ের মধ্যে শেষ হয়ে যাচ্ছে চাল। তাই অনেককে খালি হাতেই ফিরতে হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে চাটমোহর পৌর সদরে চারটি বিক্রয়কেন্দ্রের মাধ্যমে মাথাপিছু পাঁচ কেজি করে ওএমএসের চাল বিক্রি শুরু হয়। চারজন ডিলার দুই টন করে চাল বরাদ্দ পান। ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত দুই টন করে চাল বিক্রি হলেও বরাদ্দ কমায় ১৭ অক্টোবর থেকে এক টন করে চাল বিক্রি করছেন ডিলাররা। ফলে আগের চেয়ে বর্তমানে অর্ধেক ক্রেতা চাল কিনতে পারছেন।
বুধবার (১৯ অক্টোবর) চাটমোহর পুরাতন বাজার ও নারিকেল পাড়া এলাকায় দেখা গেছে, চাল না পেয়ে অনেক মানুষ খালি হাতে বাড়ি ফিরছেন। বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকেও অনেকে চাল নিতে এসেছিলেন।
Advertisement
মুলগ্রাম ইউনিয়নের রেলবাজার এলাকার সালেহা খাতুন, মাজেদা খাতুন এবং জিলহজ আলী জাগো নিউজকে বলেন, ‘যাওয়া-আসায় ৩০ টাকা খরচ হয়েছে। এখন চাল না পেয়ে খালি হাতেই ফিরতে হচ্ছে। আমাদের দুর্ভোগের শেষ নেই।’
মথুরাপুর ইউনিয়নের খরবাড়িয়া গ্রামের জন কোরাইয়া খাতুন ও বুলবুলী খাতুনসহ অন্তত ৪০ জন জানান, চাল না পেয়ে তারা খালি হাতে ফিরে যাচ্ছেন।
টমোহর উপজেলার বিলচলন ইউনিয়নের রামনগর এলাকা থেকে চাল কিনতে আসা গৃহবধু রাহেলা বেগম, হরিপুর ইউনিয়নের ধরইল গ্রামের আকলিমা বেগম, গুনাইগাছা ইউনিয়নের বড় শালিখার রতন চূর্ণকার জাানান, দুদিন পরপর তারা পাঁচ কেজি করে চাল কেনেন। কিন্তু এখন ঠিকমতো চাল কিনতে পারছেন না।
কথা হয় চাটমোহর পুরাতন বাজার বিক্রয়কেন্দ্রের ডিলার তরুন চন্দ্র পাল ও নারিকেল পাড়ার খন্দকার সামসুল আল-আমিনের সঙ্গে। তারা জাগো নিউজকে বলেন, ওএমএস কার্যক্রমের বরাদ্দ অর্ধেক কমে গেছে। এতে অনেকেই চাল না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন। আমাদের খারাপ লাগলেও করার কিছুই নেই। বরাদ্দ বাড়ালে আমরাও বেশি বিক্রি করতে পারবো।
Advertisement
এ বিষয়ে চাটমোহর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) জামাল উদ্দিন বলেন, ওএমএসের চালের প্রচুর চাহিদা। বরাদ্দ কমে যাওয়ায় কম সংখ্যক মানুষ চাল পাচ্ছেন। বরাদ্দ বাড়লে বেশি সংখ্যক মানুষ চাল পাবেন।
চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মমতাজ মহল বলেন, বরাদ্দ কমায় এ সমস্যা হচ্ছে। তবে যতটুকু বরাদ্দ পাচ্ছি ততটুকু বিক্রি করা হচ্ছে। যারা আগে আসবেন তারা আগে পাবেন। খাদ্য নিয়ন্ত্রকের সঙ্গে কথা বলে মনিটরিং জোরদার করা হবে বলেও জানান তিনি।
আমিন ইসলাম জুয়েল/এসআর/জেআইএম