বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য ১৮ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত। সেদিন আসামিপক্ষের জেরা চলবে। এরআগে গত ৪ ফেব্রুয়ারি আলোচিত এ মামলার প্রধান আসামি খালেদা জিয়ার পক্ষে মামলার তদন্ত কর্মকর্তার (আইও) জেরা শেষ করা হয়।বৃহস্পতিবার আসামি জিয়াউল ইসলাম মুন্নার পক্ষে জেরা শুনে বিচারক ১৮ ফেব্রুয়ারি শুনানির পরবর্তী দিন ধার্য করেন বলে সাংবাদিকদের জানান দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল।বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ অপর আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সময় দেওয়া হবে বলে জানান আইনজীবীরা। বিধি অনুযায়ী, ধার্য দিনে আসামিদের সাক্ষীর জবানবন্দি ও জেরার অংশ (অভিযোগ) পড়ে শোনাবেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা।অভিযোগ পড়ে শোনার পর তাদের কাছে জানতে চাওয়া হবে, তারা নিজেদের পক্ষে কোনো বক্তব্য রাখবেন কি না অথবা কোনো লিখিত বক্তব্য বা কোনো সাফাই সাক্ষী হাজির করবেন কি না।আসামিরা চাইলে সেদিনই নিজেদের নির্দোষ দাবি করে আদালতে বক্তব্য দিতে পারবেন। সাফাই সাক্ষ্য দিতে চাইলে তার জন্যও তারিখ রাখা হবে।বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে জেরার কার্যক্রম মুলতবি ঘোষণা করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক আবু আহমেদ জমাদার। তার আগে বেলা পৌনে ১১টার দিকে জেরার কার্যক্রম শুরু করেন আসামি পক্ষের আইনজীবী। আসামি জিয়াউল ইসলাম মুন্নার পক্ষে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হারুনুর রশীদকে জেরা করেন তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম।আজ খালেদা জিয়া অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে আদালতে যাননি। চিকিৎসার জন্য প্রায় দুই মাস লন্ডনে থেকে গত বছর ২১ নভেম্বর দেশে ফেরেন খালেদা জিয়া। এরপর মামলার কয়েকটি ধার্য তারিখেও অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে আদালতে হাজির হননি খালেদা জিয়া। তার পক্ষে আইনজীবীর হাজিরা মঞ্জুর করেন আদালত।এ মামলা বিষয়ে দুদকের আইনজীবী মোশররফ হোসেন কাজল বলেন, প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন খালেদা জিয়া এ ট্রাস্ট করেছেন; যা আইনত করা য়ায় না। ট্রাষ্টের অর্থ নিজেরা লাভবান হতে ব্যয় ও আত্মসাৎ করেছেন বলেও দাবি করেন তিনি।তবে গতবছর ৩০ নভেম্বর নাইকো সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পান বেগম খালেদা জিয়া। ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক এম আমিনুল ইসলাম নাইকো মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন মঞ্জুর করে ওই আদেশ দিয়েছিলেন। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের নামে ২০১১ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলাটি দায়ের করেছিলেন দুদকের তৎকালীন সহকারী পরিচালক হারুনুর রশিদ। গত ১৯ মার্চ দুই মামলায় অভিযোগ (চার্জ) গঠন করা হয়। এফএইচ/এনএফ/পিআর
Advertisement