হলের বারান্দা থেকে পড়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থী এমজিএম শাহরিয়ারের মৃত্যুর ঘটনায় চিকিৎসকদের অবহেলার অভিযোগ তদন্তে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিন কার্যদিবসের মধ্যে এ কমিটিকে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
Advertisement
বুধবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (রামেক) প্রশাসন ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আলোচনায় বসে এ তদন্ত কমিটি গঠন করে।
তদন্ত কমিটি সদস্যরা হলেন- রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা এম তারেক নূর, প্রক্টর আসাবুল হক, রাজশাহী বিভাগীয় উপ-পুলিশ কমিশনার ক্রাইম, রাজশাহী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ড. নওশাদ আলি ও মেডিকেল কলেজের একজন সিনিয়র চিকিৎসক।
তদন্ত কমিটি গঠনের পর ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করতে রাবির মার্কেটিং বিভাগের সভাপতি ও ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো ফরিদুল ইসলাম বলেন, আমরা বসে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে সুষ্ঠু তদন্তসাপেক্ষে রিপোর্ট পেশ করা হবে। মেডিকেল কলেজের সিসি ক্যামেরা ও ঘটনা পর্যবেক্ষণ করে রিপোর্ট তৈরি করা হবে। এসময় শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে ফিরে যাওয়ার অনুরোধ জানান তিনি।
Advertisement
আরও পড়ুন: হলের বারান্দা থেকে পড়ে রাবি ছাত্রের মৃত্যু
রাজশাহী বিভাগীয় পুলিশ কমিশনার আবুল কালাম সিদ্দিক আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, আমরা তিনদিনের সময় চাচ্ছি। তোমরা আমাদের তিনদিন সময় দিয়ে সাহায্য করবে। শিক্ষার্থীদের ন্যায়বিচার পাবে বলে আশ্বস্ত করেন এ পুলিশ কমিশনার। যারা আহত তাদের চিকিৎসার সব দায়িত্ব রামেক প্রশাসন নিয়েছে বলে তিনি জানান।
এর আগে বুধবার রাত ৮টার দিকে রাবির হবিবুর রহমান হলের তৃতীয় তলার বারান্দা থেকে পড়ে শিক্ষার্থী এমজিএম শাহরিয়ার গুরুতর আহত হন। পরে শিক্ষার্থীরা তাকে রামেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তার মৃত্যু হয়।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, রামেকে নেওয়ার ৪০ মিনিট পর এসে আহত শাহরিয়ারকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে রামেক হাসপাতালের ওয়ার্ড ও পরিচালকের কক্ষের সামনের অংশে ভাঙচুর করেন শিক্ষার্থীরা। এসময় হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসকরাও শিক্ষার্থীদের ওপর চড়াও হন। এতে আহত হন রাবির চার শিক্ষার্থী।
Advertisement
নিহত শাহরিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার বাড়ি দিনাজপুরের বিরল উপজেলায়।
মনির হোসেন মাহিন/ইএ