ফেসবুকে প্রায়ই খেয়াল করবেন অনেকের অ্যাকাউন্টের পাশে নীল একটি টিক চিহ্ন দেখা যায়। বিশেষ করে বিশিষ্ট কোনো ব্যক্তি, কোনো ব্যাবসায়িক পেজ বা কোম্পানির অ্যাকাউন্টে। তারকাখ্যাতি-সম্পন্ন ব্যক্তি, সেলিব্রিটি, সাংবাদিক, সরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রিয় প্রতিষ্ঠান ও ব্র্যান্ডের অ্যাকাউন্ট বা পেজেও এটি খেয়াল করবেন।
Advertisement
অ্যাকাউন্টের নামের পাশে নীল বা হালকা কালো রঙের একটি টিক চিহ্ন থাকে। ফেসবুকে নীল বৃত্তাকারে সাদা এ টিক চিহ্নকে বলা হয় ব্লু-ব্যাজ। যা সহজেই বুঝিয়ে দেয় যে, পেজ বা অ্যাকাউন্টটি ভেরিফায়েড। অর্থাৎ ভুয়া কোনো পেজ নয় এটি। ফেসবুক স্বীকৃত একটি ফ্যানপেজ এটি। মূলত বিখ্যাত ব্যক্তি ও পাবলিক পরিসংখ্যান-ক্রীড়া, মিডিয়া, রাজনীতি, বিনোদন, গ্লোবাল ব্র্যান্ড, ব্যবসায়ী ও সরকারি কর্মকর্তাদের ক্ষেত্রে এই ব্যাজ দেওয়া হয়।
তবে ফেসবুকের ব্লু-ব্যাজ চাইলে আপনিও পেতে পারেন। নিয়ম অনুসরণ করে যে কেউ চাইলেই প্রোফাইল বা পেজ ‘ভেরিফাই’ করতে পারে। এজন্য অবশ্যই কিছু শর্ত মানতে হবে ব্যবহারকারীকে। যেহেতু ফেসবুক একটি উন্মুক্ত প্ল্যাটফর্ম। তাই যে কেউ ইচ্ছা করলেই তার নিজের প্রোফাইল কিংবা পেজ তৈরি করতে পারবেন। এমনকি অন্য প্রতিষ্ঠানের নামে ফেসবুক পেজ তৈরি করে নিয়মিত হালনাগাদও করা যায়। এখানে কোনো অথেনটিক পরিচয়পত্র দেখানোর প্রয়োজন পড়ে না। ফলে যে কেউ চাইলেই অন্য কারও নামে অ্যাকাউন্ট বা পেজ খুলতে পারেন।
তবে হাজার হাজার ভুয়া পেজ বা অ্যাকাউন্টের মধ্যে সহজেই আসল পেজ বা অ্যাকাউন্ট খুঁজে পাওয়া যায় এর মাধ্যমে। ফেক অ্যাকাউন্ট থেকে মূল অ্যাকাউন্ট আলাদা করে দেখানোর জন্যই ফেসবুকের একটি নিজস্ব ভেরিফিকেশন পদ্ধতি রয়েছে। এই ভেরিফিকেশনে উত্তীর্ণ পাতাগুলোর নামের পাশে নীল রঙের একটি টিক চিহ্ন থাকে।
Advertisement
চলুন জেনে নেওয়া যাক কীভাবে খুব সহজে ফেসবুকের কাছ থেকে ব্লু-ব্যাজ পাবেন-
>> এজন্য প্রথমেই ইচ্ছুক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও ব্র্যান্ডকে ফেসবুকের কাছে আবেদন করতে হয়। আবেদন পাওয়ার পর ফেসবুক কর্তৃপক্ষ অ্যাকাউন্টটিকে ভালো করে পরীক্ষা করে দেখে তারপর ব্লু-ব্যাজ দেয়।
>> আবেদন করার জন্য ফেসবুকের হেল্প সেন্টারে ভেরিফাই ইওর পেজ অর প্রোফাইলে যান। অথবা এই লিংকে ক্লিক করুন
>> এবার সেখান থেকে আপনি আপনার পেজ ফেরিফাই করতে পেজ অপশন সিলেক্ট করুন।
Advertisement
>>আপনার অফিশিয়াল আইডি কার্ডের (যেমন- জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট, ফোন বা ইউটিলিটি বিল ইত্যাদি) স্ক্যান কপি আপলোড করুন।
>> অফিসিয়াল পেজের লিংক সাবমিট করুন।
> ‘অ্যাডিশনাল ইনফরমেশন’ বক্সে কেন ভেরিফাই করতে চান তা উল্লেখ করুন এবং ‘সেন্ড’ বাটনে ক্লিক করে সাবমিট করুন।
এই ধাপগুলো সঠিকভাবে অনুসরণ করুন। কয়েক মিনিটের মধ্যেই আপনার আবেদনের অবস্থা জানাবে ফেসবুক। এরপর আপনার পেজ ফেসবুকের ভেরিফায়েড হওয়ার জন্য প্রসেস করবে। এই তথ্যগুলো দিয়ে অন্যান্য সাধারণ ব্যবহারকারীও পেজের মালিক বা যিনি পরিচালনা করছেন, সেই বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারবেন। তবে আপনার দেওয়া তথ্যে গড়মিল থাকলে ব্লু-ব্যাজ পাবেন না। এমনকি পেজ ভুয়া প্রমাণ হলে ফেসবুক সেটি বন্ধ করেও দিতে পারে।
সূত্র: বিজনেস ইনসাইডার
কেএসকে/জেআইএম