কানাডায় টরন্টো ওয়াটারফ্রন্ট ম্যারাথন (টিসিএস) অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৬ অক্টোবর টরন্টোর অন্টারিওতে আয়োজন করা হয় এ প্রতিযোগিতার। ৪২ দশমিক ২০ কিমি দীর্ঘ ম্যারাথন ছাড়াও ২১ দশমিক ১০ কিমির হাফ ম্যারাথন ও পাঁচ কিমির রান এই ইভেন্টের অন্তর্ভুক্ত।
Advertisement
এই দৌড়টি দ্রুত এলিট লেভেলে ম্যারাথনে পরিণত হয়েছে এবং এটি উত্তর আমেরিকার মাত্র পাঁচটি আইএএএফ গোল্ড লেভেল ম্যারাথনের মধ্যে একটি। ২০০০ সালে যাত্রা হওয়া টরন্টো ওয়াটারফ্রন্ট ম্যারাথনে এবারের লক্ষ্য ছিল ‘টু বি দ্য ফার্স্ট কানাডিয়ান ইভেন্ট টু অ্যাসিভ ইভারগ্রিন স্ট্যাটাস ওইথ দ্য কাউন্সিল ফর রেসপনসিবিলিটি স্পোর্ট’ এবং এবারের অঙ্গীকার ছিল ‘সাস্টেনিবিলিটি ইজ ওয়ান অব আওয়ার কোর ভ্যালু’।
কোভিড চলাকালীন ২০২০ এবং ২০২১ সালে উন্মুক্ত পরিবেশে রানিং ইভেন্ট আয়োজন করতে না পারলেও ভার্চুয়ালি সারা বিশ্বের অনেক রানার অংশ নেয়। তবে কোভিড পরবর্তীতে উন্মুক্ত পরিবেশে ১৬ অক্টোবর সদ্য অনুষ্ঠিত এই রেসে ৭০টি দেশের ২২ হাজারের বেশি রানার সরাসরি অংশ নেন। টরন্টো ডাউনটাউন ইউনিভার্সিটি এভিনিউ থেকে যাত্রা শুরু হয়ে শহরের বিভিন্ন স্থান ঘুরে ডাউনটাউন সিটি হলের সামনে শেষ হয়।
বাংলাদেশ থেকে আগত একমাত্র রানার প্রশান্ত রায়সহ বাংলাদেশি-কানাডিয়ান আরও চারজন রানার এই ইভেন্টে অংশ নেন। তারা হলেন- হাসনাত শফিক রাসেল, অয়ন চৌধুরী, আজহার চৌধুরী, মিহাল আহসান।
Advertisement
টরন্টো ওয়াটারফ্রন্ট ম্যারাথন দৌড় প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা বুকে নিয়ে দৌড়ের স্বপ্ন নিয়ে প্রশান্ত রায় হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে সুদূর ঢাকা থেকে টরন্টো এসেছেন।
৪২ দশমিক ২ কিলোমিটার শেষে ফিনিশ লাইনে এসে প্রশান্ত রায়ের অনুভূতি জানতে চাইলে তিনি বলেন, স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। কোভিডের কারণে গত দুই বছর ঢাকার রাস্তায় ভার্চুয়ালি টরন্টো ওয়াটারফ্রন্ট ম্যারাথন সম্পন্ন করি। কিন্তু ভার্চুয়াল দৌড়ে আনন্দ নেই। সেই আনন্দ এবং স্বপ্ন পূর্ণ হয়েছে এবার সরাসরি টরন্টোর রাস্তায় দৌড়ে।
তিনি যোগ করেন, মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্য সুস্থ রাখার অন্যতম উপায় হাঁটা অথবা দৌড়। এর কোনো বিকল্প নেই। অনেকেই এটাকে পরিশ্রমের মনে করেন, কিন্তু শুরু করলে যে ফিজিক্যাল ও মানসিক প্রশান্তি আসে, তা উপলব্ধি করার পর কেউ এটা ছাড়তে পারবে না। চিকিৎসকের ওষুধ এড়াতে চাইলে নিয়মিত হাঁটা এবং দৌড়ানোর কোনো বিকল্প নেই।
এমআরএম/এমএস
Advertisement