ডলার সংকটের কারণে গত ১৯ জুলাই জ্বালানি সাশ্রয়ের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এলাকাভিত্তিক চালু করা হয় পরিকল্পিত লোডশেডিং। প্রতিদিন এক ঘণ্টা লোডশেডিংয়ের কথা থাকলেও পরবর্তীতে রাজধানীসহ সারাদেশে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা লোডশেডিং হচ্ছে।
Advertisement
সেপ্টেম্বরের শেষদিকে ঢাকায় লোডশেডিংয়ের মাত্রা কিছুটা কমলেও অক্টোবরে আগের চেয়েও বেড়েছে লোডশেডিং। লোডশেডিংয়ের কারণে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শিক্ষার্থীদেরও পোহাতে হচ্ছে নানারকম বিড়ম্বনা। রাজধানীর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন টেকনোলোজি অ্যান্ড সায়েন্সেস (ইউআইটিএস) এর তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সাজিয়া পারভেজ সুপ্তি বলেন,‘লোডশেডিংয়ের কারণে আমাদের পড়াশোনা এবং ব্যক্তিগত জীবনের প্রচুর সময় নষ্ট হচ্ছে। সারাদিন ক্লাস শেষে বাসায় এসে লোডশেডিং হলে তখন আর পড়াশোনা করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। এছাড়া ক্লাসরুমেও প্রায় সময় লোডশেডিংয়ের কারণে বিড়ম্বনা পোহাতে হচ্ছে’।
বিদ্যুৎ বিভাগের সূত্র মতে, গত জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দিনে সর্বোচ্চ ২০০০ থেকে ২২০০ মেগাওয়াট পর্যন্ত লোডশেডিং হয়েছে। তবে এখন সে পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে পৌঁছেছে ২৫০০ থেকে ৩০০০ মেগাওয়াট পর্যন্ত।
সাজিয়া পারভেজের মতো তহুরুজ্জামান খান অনিক একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। বিদ্যুৎ বিভ্রাটের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘লোডশেডিং এবং অতিরিক্ত গরমে জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। লোডশেডিংয়ের কারণে প্রায় সময় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দেওয়া অ্যাসাইনমেন্ট এবং হোমওয়ার্কও করতে পারছেন না। লোডশেডিংয়ের কারণে পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়াটাও বেশ কষ্টকর হয়ে যায়’।
Advertisement
আরেক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী আলভী জান্নাত শশী বলেন, ‘কিছুদিন ধরে লোডশেডিং কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রায়সময়ই মাঝরাতে লোডশেডিং হচ্ছে দুই-তিনবার। তীব্র গরমে ঘুমানো কষ্টকর হয়ে যায়। যে কারণে পরের সারাদিন ক্লান্তি অনুভব করি এবং মাঝেমধ্যেই ক্লাস মিস দিতে হচ্ছে। লোডশেডিংয়ের কারণে আমরা পর্যাপ্ত সময় পাচ্ছি না নিজেদের জন্য’।
পড়াশোনার পাশাপাশি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষার্থী মেহরাব হোসেন রাজ বলেন, ‘আমি পড়াশোনার পাশাপাশি নিজের ক্যারিয়ার গঠনের জন্য একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করছি। প্রায়সময় এখন লোডশেডিংয়ের কারণে কাজ করতে পারছি না এবং পড়াশোনাও করতে পারছি না। এছাড়া ইদানীং ঢাকা শহরের যানজট, অতিরিক্ত গরম এবং সেই সঙ্গে লোডশেডিং আমাদের শিক্ষার্থীদের জীবনে বেশ বিরূপ প্রভাব ফেলছে। শিগগির এর প্রতিকার প্রয়োজন। আশা করছি আমাদের দায়িত্বশীল মহলের মানুষজন বিষয়টি সামধানে কাজ করছেন’।
কেএসকে/জেআইএম
Advertisement