পরিবারের সঙ্গে বসে খাবার খাওয়ার অভ্যাস কমবেশির সবার মধ্যেই আছে। শুধু এদেশেই নয় বরং চীন, জাপানসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পরিবারের সঙ্গে বসে খাবার খাওয়ার রীতি প্রচলিত আছে।
Advertisement
আপনি যদি এই অভ্যাসে অভ্যস্ত না হন তাহলে বুঝবেন অন্যদের চেয়ে আপনি মানসিক চাপে বেশি ভুগছেন। আর মানসিক চাপ হার্ট অ্যাটাকসহ স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়।
আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের সম্প্রতি এক সমীক্ষা প্রকাশ করেছে। ওয়েকফিল্ড রিসার্চ দ্বারা আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের হেলদি ফর গুড মুভমেন্টের জন্য সেপ্টেম্বর ২০২২ সালে যুক্তরাষ্ট্রব্যাপী জরিপ করা হয় এক হাজার মার্কিন প্রাপ্তবয়স্কদের উপর।
যাদের মধ্যে বেশিরভাগই (৮৪ শতাংশ) রিপোর্ট করেছেন, তারা প্রিয়জনদের সঙ্গে বসে খাবার খেতে উপভোগ করেন। যা তাদেরকে মানসিকভাবে খুশি রাখে ও আনন্দ দেয়।
Advertisement
পরিবারের সঙ্গে বসে খাবার খাওয়া কেন স্বাস্থ্যকর?
আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের স্বেচ্ছাসেবক এরিন মিকোস (এমডি, এমএইচএস, জনস হপকিন্সের প্রতিরোধমূলক কার্ডিওলজির সহযোগী পরিচালক) এ বিষয়ে জানান, পরিবার বা বন্ধুদের সঙ্গে বসে খাবার ভাগাভাগি করার মাধ্যমে মানসিক চাপ কমে ও আত্মসম্মান বাড়ে। বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে এই অভ্যাস সামাজিক সংযোগ উন্নত করতে দুর্দান্ত কার্যকরী।
এই অধ্যাপক ও চিকিৎসক আরও জানান, দীর্ঘস্থায়ী মানসিক চাপ হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। তাই যারা এরই মধ্যে মানসিক চাপে ভুগছেন তাদের উচিত সতর্ক ও চাপমুক্ত থাকা।
এক্ষেত্রে বন্ধুবান্ধব, পরিবার, সহকর্মী ও প্রতিবেশীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ও সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে মানসিক চাপ থেকে মুক্তি মেলে।
Advertisement
সমীক্ষায় দেখা গেছে, ৬৭ শতাংশ মানুষ অন্যের সঙ্গে খাবার ভাগ করে নেওয়ার মাধ্যমে সামাজিকভাবে সংযোগ স্থাপনের গুরুত্বের কথা বলেছেন। অন্যদিকে ৫৪ শতাংশ মনে করে অন্যের সঙ্গে খাবার খাওয়ার অভ্যাস অলস করে দেয় মানুষকে।
আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের সমীক্ষায় সংখ্যাগরিষ্ঠ (৬৫ শতাংশ) প্রাপ্তবয়স্কদেরকে পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে, তারা অন্তত কিছুটা চাপে ও এক চতুর্থাংশেরও বেশি (২৭ শতাংশ) অত্যন্ত বা খুব চাপে রয়েছেন।
জরিপ উত্তরদাতাদের প্রায় ১০ জনের মধ্যে ৭ জন (৬৯ শতাংশ) যারা পূর্ণ বা খণ্ডকালীন চাকরি করেন তারা জানিয়েছেন, অফিসে কাজের ফাঁকে কিংবা লাঞ্চের সময় অন্য সহকর্মীর সঙ্গ তাদেরকে কর্মক্ষেত্রের চাপ কমাতে সাহায্য করে। (এএনআই)
সূত্র: দ্য প্রিন্ট/এনআই
জেএমএস/জিকেএস