জাপানে টোকিও’র বাংলাদেশ দূতাবাসে শেখ রাসেলের ৫৯তম জন্মদিন উদযাপন করা হয়েছে। এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘শেখ রাসেল নির্মলতার প্রতীক দুরন্ত প্রাণবন্ত নির্ভীক’।
Advertisement
মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) সকালে অনুষ্ঠানের শুরুতে শহীদ শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ। তার সঙ্গে ছিলেন বাংলাদেশি কমিউনিটির নেতারা ও দূতাবাসের কর্মকর্তারা।
এসময় শেখ রাসেল দিবসের থিম সংগীত পরিবেশন করা হয়। পরে শেখ রাসেল, বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সব সদস্যদের জন্য বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। দূতাবাসের কর্মকর্তারা দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বাণী পাঠ করেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেওয়ার সময় রাষ্ট্রদূত বলেন বঙ্গবন্ধুর মতো শেখ রাসেল শিশুকাল থেকেই উদার, পরোপকারী, শান্তিপ্রিয় ছিলেন। রাষ্ট্রদূত উপস্থিত সবাইকে স্মরণ করিয়ে দেন, স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বঙ্গবন্ধু যেদিন জাপানের মাটিতে পা রাখেন, সেদিন ছিল ১৯৭৩ সালের ১৮ অক্টোবর অর্থাৎ শেখ রাসেলের জন্মদিন। সেদিন বাবার সঙ্গে রাসেলও জাপানে এসেছিলেন। পুরো জাপান সফরে শেখ রাসেলকে অনেক চঞ্চল, হাসি-খুশি দেখা গেছে। কখনো সে পুকুরপাড়ে মাছ দেখে আনন্দে মেতেছে আবার কখনো জাপানি ঐতিহ্যবাহী জামা ‘ইউকাত্তা’ পরে জাপানি নাচ আর বাদ্য উপভোগ করেছে।
Advertisement
পরে আলোচনা অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে জাপান প্রবাসী বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতারা শেখ রাসেলের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং অনুষ্ঠান আয়োজন করায় দূতাবাসকে ধন্যবাদ জানান। তারা শেখ রাসেলের ছোট্ট জীবনের ঘটনা, পরিবারের সবচেয়ে বড় বোন হিসেবে তার প্রতি শেখ হাসিনার আদর ও মমতা এবং ঘাতকের বুলেটে তার অমিত সম্ভাবনাময় জীবনের অবসান নিয়ে আলোকপাত করেন।
অনুষ্ঠানে শেখ রাসেলের জীবনের উপর নির্মিত একটি ভিডিও তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। জন্মদিন উপলক্ষে উপস্থিত অতিথিদের নিয়ে কেক কাটেন রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ।
জেএস/জেআইএম
Advertisement