খামারের গাভি অনেক সময় দুগ্ধ জ্বর বা দুধ জ্বরে আক্রান্ত হয়। এতে খামারিরা বেশ ক্ষতির মুখে পড়েন। আর্থিকভাবে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হন। এ সময়ে তা বুঝে উঠতে পারেন না তারা কী করবেন।
Advertisement
আবার অনেক সময় দুধ জ্বরে আক্রান্ত হলে খামারিরা বুঝেও উঠতে পারেন না গাভির কী হয়েছে। এবার জেনে নিন গাভির দুধ জ্বর হলে কিভাবে বুঝবেন ও তার চিকিৎসা কেমন করে করবেন।
গাভি বাচ্চা প্রসবের পর দুধ জ্বরে আক্রান্ত হওয়া একটি বিপাকীয় রোগ। সাধারণত বেশি দুধ দানকারী গাভি প্রসবের পরপরই এ রোগে আক্রান্ত হয়।
আক্রান্ত গাভি কিছু খেতে চায় না মাথা স্থির রাখতে পারে না। জিহ্বা বের হয়ে আসে। পরবর্তীতে গাভি বুকে ভর দিয়ে শুয়ে পড়ে। মাথা একপাশে কাঁধের উপর ফেলে রাখে। গাভি চৈতন্য হারিয়ে ফেলে এবং অবশেষে মারা যায়।
Advertisement
গর্ভবতী গাভিকে সুষম খাদ্য সরবরাহ করতে হবে। প্রসবকালীন শেষ মাস থেকে গাভির খাদ্যে পরিমিত অনুপাতে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ও ভিটামিন ডি সরবরাহ করতে হবে। অভিজ্ঞ চিকিৎসকের চিকিৎসায় তাৎক্ষণিকভাবে রোগ নিরাময় হয়।
ক্যালসিয়াম ইনজেকশন রোগের তীব্রতা ও পশুর ওজন অনুযায়ী শিরায় প্রয়োগ করতে হবে। তবে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার পরামর্শ নিয়ে গাভীর পরিচর্যা করলে দ্রুত সুফল পাওয়া যাবে।
সূত্র: কৃষি তথ্য সার্ভিস
এমএমএফ/জিকেএস
Advertisement