উগান্ডায় ইবোলা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। দেশজুড়ে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে। দুই জেলার পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় সেখানে তিন সপ্তাহের লকডাউন জারি করেছে কর্তৃপক্ষ। খবর বিবিসির।
Advertisement
মুবেন্দে এবং প্রতিবেশী কাসান্দা জেলায় লকডাউনের কারণে বার, নাইটক্লাব, প্রার্থনার বিভিন্ন স্থান এবং বিনোদনের ভেন্যুগুলো আগামী তিন সপ্তাহ বন্ধ থাকবে। এই দুই জেলায় একই সময়ে কারফিউও জারি থাকবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
প্রেসিডেন্ট ইয়োয়েরি মুসেভেনি এর আগে বলেছিলেন, এ ধরনের কোনো বিধিনিষেধের প্রয়োজন হবে না। কিন্তু পরিস্থিতি খারাপ হতে শুরু করায় তিনি তার কথা থেকে সরে আসতে বাধ্য হয়েছেন।
এখন পর্যন্ত ইবোলায় ৫৮ জনের আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে মারা গেছে ১৯ জন।তবে ধারণা করা হচ্ছে, আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যা সরকারি হিসাবের চেয়েও বেশি হতে পারে।
Advertisement
গত সেপ্টেম্বরের শুরুতেই মুবেন্দে শহরে ইবোলার প্রাদুর্ভাব শুরু হয়। রাজধানী কামপালা থেকে ওই জেলার দূরত্ব প্রায় ৮০ কিলোমিটার (৫০ মাইল)। এখন পর্যন্ত ওই জেলাকেই ইবোলার উপকেন্দ্র বলা হচ্ছে।
এর আগে লকডাউন বাতিল করেছিলেন প্রেসিডেন্ট মুসেভেনি। তিনি বলেছিলেন, ইবোলা কোনো বায়ুবাহিত ভাইরাস নয়। তাই কোভিড-১৯ ভাইরাসের মতো এক্ষেত্রে একই ধরনের ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজন নেই।
কিন্তু গত শনিবার তিনি মুবেন্দে এবং প্রতিবেশী কাসান্দা জেলায় সব ধরনের চলাচলে আগামী ২১ দিনের জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। শুধু কার্গো ট্রাক বিভিন্ন এলাকায় চলাচল করতে পারবে। বাকি সব পরিবহনের ক্ষেত্রেই নিষেধাজ্ঞা আনা হয়েছে।
টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে প্রেসিডেন্ট মুসেভেনি বলেন, ইবোলার বিস্তার নিয়ন্ত্রণ করতে এটা সাময়িক বিধিনিষেধ। তিনি বলেন, আমাদের সকলের উচিত এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতা করা। যেন আমরা এই প্রাদুর্ভাবকে অল্প সময়ের মধ্যে শেষ করতে পারি।
Advertisement
এই ভাইরাসে আক্রান্ত কোনো ব্যক্তি আইসোলেশনে না থাকতে চাইলে তাকে দ্রুত গ্রেফতারে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট মুসেভেনি। মুবেন্দে শহরে এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর প্রথম ২৪ বছর বয়সী এক তরুণের মৃত্যুর খবর রেকর্ড করা হয়। ওই তরুণের পর তার পরিবারের আরও ছয় সদস্যও নিহত হয়েছে।
টিটিএন