গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) একাডেমিক ভবনের অধিকাংশ শৌচাগারে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের কারণে ভোগান্তিতে রয়েছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ কর্মকর্তারা। দুর্গন্ধ আর অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে অধিকাংশ শৌচাগার ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
Advertisement
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, কালক্ষেপণ করে দীর্ঘদিন পরপর শৌচাগারগুলো পরিষ্কার করার কারণে এমন অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরি হয়েছে। যার কারণে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে অধিকাংশ শৌচাগার। এতে করে নানামুখী সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন বলে জানান তারা।
সরেজমিনে দেখা যায়, একাডেমিক ভবনের প্রথম ফ্লোরের বেশকিছু শৌচাগারের দরজা ভাঙা, সিটকিনিহীন অধিকাংশ দরজা। এছাড়া শৌচাগারের ভেতরে পানির ট্যাপ ভাঙা বা কাঠি গুঁজে রাখাও দেখা যায় বেশ কয়েকটিতে। পাশাপাশি উৎকট গন্ধ এতটাই তীব্র যে সামনের করিডর ধরে হেঁটে যেতেও অনেক সময় বেগ পেতে হয় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের।
অন্যদিকে, প্রশাসনিক ভবনের শৌচাগারগুলোর দরজা কিংবা পানির লাইনের খুব বেশি সমস্যা না থাকলেও অনেক নোংরা এবং দুর্গন্ধযুক্ত হওয়ায় সেগুলো ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
Advertisement
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইতিহাস বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী উৎস বিশ্বাস জাগো নিউজকে বলেন, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কথা বলতে গেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনারদের ক্লিনিংয়ের ওপর কোর্স করাতে হবে। তাদের কাজের অবহেলার কারণে আমাদের এমন অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে থাকতে হচ্ছে। দুর্গন্ধের কারণে মাঝে মাঝে শ্রেণিকক্ষেও ঠিকমতো মনোযোগ দেওয়া যায় না। এমন অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের মধ্যে থেকে ক্লাস করাটা আমাদের জন্য ক্ষতিকর।
শৌচাগার পরিষ্কার সম্পর্কিত বিষয়ে জানতে চাইলে ক্লিনারদের প্রধান মিলন বলেন, আমরা নিয়মিত পরিষ্কার করি। তবে জনবলের অভাবের কারণে মাঝে মাঝে এমন সমস্যা তৈরি হয়। শৌচাগার পরিষ্কার করার দিকে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করি কিন্তু শৌচাগারের দরজা এবং পানির ট্যাপ নষ্টা হওয়ার কারণে অধিকাংশ শৌচাগার ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। তবে আমরা এগুলো ঠিক করার জন্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে একাধিকবার চিঠি দিয়েও এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
এ বিষয়ে ক্লিনারদের দায়িত্বের অবহেলার কথা উল্লেখ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শদাতা ড. শরাফত আলী বলেন, ক্লিনারদের বারবার বলার পরেও তারা নিয়মিত পরিষ্কার করতে আসে না।
তিনি আরও বলেন, ক্লিনারদের সঙ্গে আমি কথা বলেছি, তাদের দাবি- বিশ্ববিদ্যালয় পরিষ্কার করার জন্য প্রয়োজনীয় জনবলের অভাব রয়েছে। যার কারণে তারা নিয়মিত সব কাজ করতে পারে না।
Advertisement
এদিকে, দরজা সমস্যা সংক্রান্ত বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রকৌশলী কাজী ইউনুস আলী বলেন, শৌচাগারগুলোর দরজা এবং পানির ট্যাপ নষ্টের বিষয়টি আমরা জানতে পেরেছি। তবে টেন্ডার না হওয়া পর্যন্ত দরজা এবং দরজার চৌকাঠগুলো লাগানো সম্ভব হচ্ছে না। তবে আমরা কিছুদিনের মধ্যে দরজাগুলো লাগিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছি।
এমআরআর/জেআইএম