চট্টগ্রামে দলীয় প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে জখম হয়েছেন হুমায়ুন কবীর আনসার নামের এক বিএনপি নেতা।
Advertisement
শনিবার (১৫ অক্টোবর) বিকেল পৌনে ৫টার দিকে কোতোয়ালি থানার নিউ মার্কেট এলাকার দোস্ত বিল্ডিংয়ের কাছে এ ঘটনা ঘটে। হামলায় দক্ষিণ জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলাম খোকাও আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
হুমায়ুন কবীর আনসারকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। সন্ধ্যা ৬টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তার শরীরে অস্ত্রোপাচার চলছে বলে জানা গেছে।
হুমায়ুন কবীর আনসার আনোয়ারা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও আনোয়ারার বরুমছড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন।
Advertisement
আনোয়ারা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটিতে দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আলোচিত জামাল উদ্দিন অপহরণ ও হত্যা মামলার প্রধান আসামি এম হেলাল উদ্দিনকে সদস্যসচিব করার পর থেকেই বিরোধের সৃষ্টি হয়।
ওই আহ্বায়ক কমিটির বেশিভাগ যুগ্ম আহ্বায়করা এম হেলাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে কেন্দ্রে অভিযোগ দিলে বিরোধ তুঙ্গে ওঠে।
উপজেলা বিএনপির আরেক যুগ্ম আহ্বায়ক ইলিয়াছ কাঞ্চন জাগো নিউজকে বলেন, দক্ষিণ জেলার আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান ও সদস্যসচিব মোসতাক আহমদ নিজেদের পছন্দের লোকজন দিয়ে কমিটি গঠন করেন।
আমরা এ বিষয়ে কেন্দ্রে অভিযোগ দিয়েছিলাম। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দলের যুগ্ম মহাসচিবের সই করা আদেশে আজিজুল বারী হেলাল অভিযোগগুলোর তদন্তে আসেন।
Advertisement
আমাদের শান্তিপূর্ণ মিটিং শেষে হেলালকে এগিয়ে দিচ্ছিলেন হুমায়ুন কবীর আনসার। ওই মুর্হুতে এম হেলাল উদ্দীনের নির্দেশে তার অনুসারীরা হুমায়ুন কবীর আনসারের ওপর হামলা চালান ও ছুরিকাঘাত করেন।
এ বিষয়ে দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বাবায়ক আবু সুফিয়ানের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবীর বলেন, দোস্ত বিল্ডিং এলাকায় বিএনপির নিজেদের মধ্যে মারামারি হয়েছে বলে শুনেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ইকবাল হোসেন/এসএএইচ/জেআইএম