রাজবাড়ীর পাংশায় চাষ হচ্ছে ঔষধি ও পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ ‘ব্ল্যাক রাইস’। যা ‘কালো ধান’ নামে পরিচিত। চাল পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ ও বাজারে দাম বেশি হওয়ায় দিন দিন কালো ধানের আবাদে আগ্রহী হয়ে উঠছেন চাষিরা।
Advertisement
পাংশা পৌর শহরের কুড়াপাড়া এলাকার ডা. আব্দুল কাদের বালিকা মাদরাসার সুপার আব্দুল কুদ্দুস তার বাড়ির পাশের চার শতাংশ জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে এ ধানের চাষ করছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, অন্যান্য ধানের মতোই এই ধানগাছ দেখতে সবুজ। তবে ধানগুলো কালো। প্রতিটি গাছের ডগায় ঝুলছে কালো ধানের শীষ।
কথা হয় কালো ধান চাষি আব্দুল কুদ্দুসের সঙ্গে। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, চীনের রাজা-বাদশাহদের সুস্বাস্থ্যের জন্য কালো ধান চাষ হতো। তবে এ ধান প্রজাদের জন্য ছিল নিষিদ্ধ। ঔষধি গুণাগুণের কারণে এই ধান চাষে ইচ্ছা জাগে তার। পরবর্তী সময়ে ইউটিউব দেখে এই ধানের চাষাবাদের বিষয়ে বিস্তারিত জানেন। ২০০ গ্রাম ধানের বীজ সংগ্রহ করে পরীক্ষামূলকভাবে বাড়ির পাশে চার শতাংশ জমিতে চাষাবাদ শুরু করেন।
Advertisement
আব্দুল কুদ্দুস বলেন, চারা রোপণের ৯০ দিনের মধ্যেই ধান ঘরে তোলা যায়। অন্যান্য ধানের তুলনায় রোগবালাইও কম। ফলনও ভালো পাবেন বলে আশা করছেন। এই জমি থেকে যে পরিমাণ ধান হবে, তা পুরোটাই রেখে দিয়ে আগামী বছর আরও বেশি জমিতে রোপণ করবেন বলে জানান তিনি।
কালো ধান চাষ দেখতে এসেছিলেন আল-আমিন হোসেন নামের এক ব্যক্তি। তিনি ইউটিউবে এই ধানের চাষ দেখেছেন। আল-আমিন জাগো নিউজকে বলেন, এই ধান প্রতি কেজি ৫০০ টাকায় বিক্রি হয়। পাংশা পৌর শহরে এই ধান চাষ হচ্ছে জেনে দেখতে এসেছি। ধান দেখে খুব ভালো লেগেছে। আগামীতে আমিও এই ধান চাষ করবো বলে চিন্তা করছি।
শাহীন রেজা নামের আরেকজন বলেন, ধানগাছগুলো বেশ সুন্দর এবং অন্যান্য ধানগাছের মতোই। শুধু ধানগুলো কালো। আর এই কালো ধান থেকেই বের হবে কালো রংয়ের চাল।
তিনি বলেন, ‘শুনেছি এই চালে ঔষধিগুণ আছে। এই ধানের চালের ভাত খেলে অনেক রোগবালাই কমে যায়। তাই এই চালের ভাত কেমন তা খাওয়ার জন্য এই ধান সংগ্রহ করবো।’
Advertisement
পাংশা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রতন কুমার ঘোষ জাগো নিউজকে বলেন, সাধারণ ধানের চেয়ে কালো ধানের দাম ও চাহিদা অনেক বেশি। কালো ধানে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকায় শরীরের রোগপ্রতিরাধ ক্ষমতা বাড়ায়। এতে থাকা ফাইবার হার্টকে রাখে সুস্থ। এছাড়া ডায়াবেটিস, স্নায়ুরোগ ও বার্ধক্য প্রতিরোধক এই ধানের চাল।
এসআর/এএসএম