ধর্ম

তাসবিহ, তাহলিল ও তাকদিসের ফজিলত

তাসবিহ, তাহলিল ও তাকসিদ- যা পড়া হয়, সবই মহান আল্লাহ তাআলার প্রশংসা। আল্লাহ তাআলা বান্দাকে তার তাসবিহ-তাহমিদ বা প্রশংসা করার নির্দেশ দিয়েছেন এভাবে-

Advertisement

فَسَبِّحۡ بِحَمۡدِ رَبِّکَ

‘এরপর তুমি তোমার রবের সপ্রশংস তাসবিহ পাঠ কর’। (সুরা নসর : আয়াত ৩)

কীভাবে তাসহিব, তাহলিল ও তাকসিদ পড়তে হবে নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাদিসে পাকে তা সুস্পষ্টভাবে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। আবার নবিজির নির্দেশনায় তাসবিহ, তাহলিল পড়লে এর ফজিলত কী; তাও বর্ণনা করেছেন। হাদিসে পাকে এসেছে-

Advertisement

হজরত ইউসাইরাহ রাদিয়াল্লাহু আনহা বর্ণনা করেছেন, তিনি ছিলেন হিজরতকারিণী নারীদের একজন। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের বলেছেন, ‘অবশ্যই তোমরা তাসবিহ (সুবহানাল্লাহ), তাহলিল (লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ) এবং তাকদিস (সুব্বুহুন কুদ্দুসুন রাব্বুনা ওয়া রাব্বুল মালায়িকাতি ওয়ার রূহ অথবা সুবহানাল মালিকিল কুদ্দুস) আঙ্গুলের গিরায় (কর) হিসাব করে পড়বে। কেননা এগুলোকে কেয়ামতের দিন জিজ্ঞাসা করা হবে এবং কথা বলতে আদেশ দেয়া হবে। সুতরাং তোমরা রহমত (অনুগ্রহের কারণ) সম্পর্কে উদাসীন থেকো না এবং তা ভুলে যেও না।’ (তিরমিজি ৩৫৮৩)

হজরত আব্দুল্লাহ ইবনু আমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, ‘আমি নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে দেখলাম তিনি নিজের হাতে (ডান হাতে) তাসবিহের গিঠ দিচ্ছেন (গণনা করছেন)।’ (তিরমিজি, আবু দাউদ, মুসতাদরাকে হাকেম)

সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, তাসবিহ-তাহলিল-তাহমিদ-তাকসিদ ও দোয়া ইসতেগফার পড়ার সময় আঙুলের গিরা বা কর গুণে গুণে তাসবিহ পড়া। হাদিসের ওপর আমল করা। কেননা আঙুলের গিরা বা করসমূহ মহান আল্লাহর কাছে জিকিরকারী বান্দার পক্ষে সাক্ষ্য দেবে।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহতে হাতের গিরা বা কর গুণে তাসবিহ-তাহলিল পড়ার তাওফিক দান করুন। হাদিসের ওপর আমল করে যথাযথ ফজিলত পাওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।

Advertisement

এমএমএস/এএসএম