পুরো ত্রিদেশীয় সিরিজে আজই সবচেয়ে ভালো খেলেছে বাংলাদেশ। ব্যাটিংটা মোটামুটি মানোত্তীর্ণ ছিল। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনকে বাদ দিলে বোলিংও ছিল দারুণ নিয়ন্ত্রিত। ফলে পাকিস্তানকে হারিয়ে দেওয়ার খুব কাছে চলে এসেছিল টাইগাররা।
Advertisement
কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। ক্রাইস্টচার্চে দারুণ লড়াইয়ের পরও পাকিস্তানের কাছে শেষ ওভারে হেরে গেছে সাকিব আল হাসানের দল। পাকিস্তান জিতেছে ৭ উইকেট আর ১ বল হাতে রেখে।
অথচ ফলটা অন্যরকম হতে পারতো। যদি বাংলাদেশ ছোট ছোট ভুল না করতো। আলাদা করে বলতে হয় মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের কথা। ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ক্যাচ ড্রপ, লাগামহীন বোলিং-সবমিলিয়ে বাংলাদেশের হারে ‘খলনায়ক’ এই অলরাউন্ডার।
বাংলাদেশের পুঁজি ছিল ১৭৩ রানের। দারুণ ব্যাটিংয়ে জোড়া ফিফটি হাঁকান লিটন দাস আর সাকিব আল হাসান। তারা যেভাবে ব্যাট করছিলেন, তাতে স্কোরটা ১৯০ এর আশেপাশে থাকার সম্ভাবনা ছিল।
Advertisement
কিন্তু দুই সেট ব্যাটার আউট হওয়ার পর সেটা হয়নি। এমনকি গুরুত্বপূর্ণ শেষ ওভারে উইকেট হাতে রেখেও মাত্র ৩ রান তুলতে পারে টাইগাররা।
ব্যাটিংয়ের সেই আফসোস প্রায় ভুলিয়ে দিচ্ছিলেন বোলাররা। পাকিস্তান রান তাড়ায় নেমে প্রথম ১০ ওভারে উইকেট না হারালেও ছিল ভীষণ অস্বস্তিতে। তাসকিন-শরিফুল-হাসান মাহমুদদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে শেষ ১০ ওভারে তাদের দরকার পড়ে ১০১ রান। বেশ কঠিনই ছিল।
এমন গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে রানের চাপে ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। কিন্তু ফাইন লেগে একদম সহজ ক্যাচ ফেলে দেন সাইফউদ্দিন। সেখানেই শেষ হলে কথা ছিল।
পরের ওভারে বল হাতে নিয়ে বলতে গেলে ম্যাচটা পাকিস্তানের হাতে তুলে দেন এই অলরাউন্ডার। ওভারে একটি 'নো'সহ ১৯ রান খরচা করেন সাইফউদ্দিন। পাকিস্তান বাঁচে হাঁফ ছেড়ে।
Advertisement
এই সাইফউদ্দিন ম্যাচে ৩.৫ ওভার বল করে খরচ করেছেন ৫৩ রান। উইকেট পাননি একটিও। যার ক্যাচ ছেড়েছেন, সেই রিজওয়ান ৫৬ বলে ৪ বাউন্ডারিতে ৬৯ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচ বের করে নিয়েছেন। এমন পারফরম্যান্সের পর বিশ্বকাপ দলে কি থাকবেন সাইফউদ্দিন?
এমএমআর/এএসএম