দেশজুড়ে

বাড়ছে তিস্তার পানি, খুলে দেওয়া হয়েছে সব জলকপাট

ভারি বর্ষণ ও উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে ব্যারাজ পয়েন্টে বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। এ কারণে ব্যারাজের সবকটি (৪৪টি) জলকপাট খুলে দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

এদিকে, নদীর পানি বাড়ায় ওই এলাকায় নতুন করে বন্যার শঙ্কায় দেখা দিয়েছে। এতে তিস্তাপাড়ের বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। পাশাপাশি তিস্তার চর এলাকায় কয়েক হাজার একর আমন ক্ষেত পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।

বুধবার (১২ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার ১৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়।

জানা গেছে, দুইদিন ধরে উজানের পানি ও ভারি বর্ষণের কারণে আবার তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম, হাতীবান্ধার সিন্দুর্না, কালীগঞ্জের ভোটমারী, কাকিনা, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা,পলাশী, সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, চোংগাডারা, রাজপুর, গোকুণ্ডা, ইউনিয়নের তিস্তা নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করছে। এতে কৃষকদের কয়েক হাজার একর ধানক্ষেত তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

Advertisement

তিস্তা চরের কৃষক আনোয়ার হোসেন বলেন, নদীর পানিতে ধানক্ষেত তলিয়ে গিয়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কাঁচা ধান কীভাবে কাটব তা নিয়ে দুচিন্তায় আছি।

হাতীবান্ধা উপজেলার চর সিন্দুর্না গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য মফিজার রহমান বলেন, হঠাৎ করে আবার তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ার আমরা আতঙ্কে আছি। যেভাবে পানি বাড়ছে তাতে চর এলাকায় বন্যা দেখা দিতে পারে। এতে অনেক কৃষকের ধান নষ্ট হয়ে যাবে।

হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, দুপুর থেকে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। আবারও বন্যা দেখা দিলে তিস্তাপাড়ের কয়েক হাজার একর ধানক্ষেত নষ্ট হতে পারে। এতে তিস্তাপাড়ের কৃষকরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদৌলা জাগো নিউজকে জানান, বুধবার দুপুর থেকে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে দেওয়া হয়েছে। ভারতে প্রচুর বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।

Advertisement

রবিউল হাসান/এমআরআর/এএসএম