জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পুলিশ সুপারদের (এসপি) সঙ্গে গত ৮ অক্টোবর বৈঠক করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে এ বৈঠক হয়। বৈঠকে জ্বালানি খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর প্রসঙ্গ তোলেন ডিসি-এসপিরা। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ইসি আনিছুর রহমান।
Advertisement
একইসঙ্গে গাইবান্ধা-৫ আসনের উপ-নির্বাচন ও জেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি আচরণবিধি প্রতিপালনে ডিসি ও এসপিদের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ না করার বিষয়টিও তুলে ধরেন। তার এমন বক্তব্যের জেরে ডিসি-এসপিরা হইচই শুরু করেন। একপর্যায়ে ডায়াস ছেড়ে নিজ আসনে ফিরে যান আনিছুর রহমান।
তবে নিয়মবহির্ভূত ও নজিরবিহীন এমন ঘটনার পরও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি সরকার। আর এ ঘটনাকে ‘সামান্য ভুল বোঝাবুঝি’ বলে উল্লেখ করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি)। এতে ‘উষ্মা’ প্রকাশ করেন আনিছুর রহমান। ঘটনার দিনের পর থেকে আর অফিসও করেননি তিনি।
নির্বাচন ভবন অডিটোরিয়ামে ইসির বৈঠক/ফাইল ছবি
Advertisement
একজন নির্বাচন কমিশনার নাম প্রকাশ না করে জানান, সেদিনের ঘটনার পর থেকে তিনি (আনিছুর রহমান) কারও সঙ্গে কথা বলছেন না। এমনকি মোবাইলে কল করেও তাকে পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি কারও সঙ্গে কোনো ধরনের যোগাযোগই রাখছেন না।
এমন পরিস্থিতিতে গুঞ্জন ছড়ায় পদত্যাগ করতে পারেন ইসি আনিছুর রহমান। তবে সেই গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি।
অফিস না করার বিষয়ে জানতে চাইলে ইসি আনিছুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমার অফিস, আমি যেদিন খুশি যাবো। এ নিয়ে এত কথা বলার কী আছে?’
আরও পড়ুন: নির্বাচনে ডিসি-এসপিদের দলের পক্ষে কাজ না করার নির্দেশনা
Advertisement
পদত্যাগের গুঞ্জন প্রসঙ্গে করা এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘না, আমি এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেইনি। বৃহস্পতি অথবা রোববার থেকে অফিসে যেতেও পারি।’
এদিকে, ডিসি ও এসপিদের সঙ্গে এ ধরনের ঘটনাকে ‘খারাপ ঘটনা’ হিসেবে অভিহিত করেছেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘এ ঘটনায় আমার মনে হচ্ছে, নির্বাচন কমিশনের ধারণাটাই পাল্টে যাচ্ছে। সাংবিধানিক পদে কর্মরত একজন কর্মকর্তার সঙ্গে ডিসি-এসপিরা এ ধরনের আচরণ করতে পারেন না। তাদের কোনো কথা বলার থাকলে অন্যভাবে বলতে পারতেন। কিন্তু দলগতভাবে এভাবে কথা বলা কোনোভাবেই উচিত হয়নি।’
এইচএস/এএএইচ/এএসএম