দেশজুড়ে

গাইবান্ধায় উপ-নির্বাচন: কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কম

 

গাইবান্ধা-৫ আসনের উপ-নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। সকাল ৮টা থেকে তিন স্তরের নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে দুটি উপজেলার ১৪৫টি কেন্দ্রে এ ভোটগ্রহণ শুরু হয়। চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

Advertisement

তবে সকাল থেকে কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কম লক্ষ্য করা গেছে। ফলে লাইনে দাঁড়ানো ছাড়াই ভোট দিতে পারছেন ভোটাররা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটারের উপস্থিতি বাড়বে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

সাবেক ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার মৃত্যুতে গাইবান্ধা-৫ আসনটি শূন্য হওয়ায় উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এবারই প্রথম এ আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণ হচ্ছে।

ফুলছড়ি উপজেলার কঞ্চিপাড়া এম এ ইউ একাডেমি কেন্দ্রে ভোট দেন স্কুল শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘যদিও প্রথম ইভিএমে ভোট দিলাম। খুব সহজ পদ্ধতি।’

Advertisement

প্রথম ইভিএম ভোট দিয়ে খুশি ষাটোর্ধ্ব নায়েব আলী। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘খুব সহজ সিস্টেম বাবাজি। আঙ্গুল দিয়ে ছাপ নিলো, মার্কাআলা সাদা বোতামত একটা টিপ দিছি, পরে শ্যামলা বোতামত টিপ দেওয়াতে ভোট হয়া গেলো। কাগজত সিল মারার থাকি এটাই সহজ মনে হলো।’

রিটার্নিং কর্মকর্তা ও রাজশাহী অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। কড়া নিরাপত্তায় রয়েছে পুরো নির্বাচনী এলাকা।

নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মাহামুদ হাসান রিপন নৌকা প্রতীক, জাতীয় পার্টি থেকে এইচ এম গোলাম শহীদ রঞ্জু লাঙ্গল প্রতীক, বিকল্পধারার প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম কুলা প্রতীক, স্বতন্ত্র প্রার্থী নাহিদুজ্জামান নিশাদ আপেল প্রতীক ও মাহবুবুর রহমান ট্রাক প্রতীকসহ মোট পাঁচ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অংশ নিয়েছেন।

সাঘাটা ও ফুলছড়ি এ দুই উপজেলা নিয়ে গঠিত গাইবান্ধা-৫ আসন। এ আসনটিতে মোট ভোটার ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৭৪৩ জন। নির্বাচনে সাঘাটা উপজেলায় ৮৮ টি এবং ফুলছড়ি উপজেলায় ৫৭ টিসহ মোট ১৪৫ টি কেন্দ্রের ৯৫২ টি বুথে ১৪৫ জন প্রিসাইডিং অফিসার, ৯৫২ জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার এবং ১ হাজার ৯০৪ জন পোলিং অফিসার দায়িত্ব পালন করছেন।

Advertisement

ভোটকেন্দ্র এবং ভোটারদের নিরাপত্তার জন্য প্রায় সাড়ে তিন হাজার পুলিশ সদস্য, র‌্যাবের ৯টি টিম, চার প্লাটুন বিজিবি এবং আনসার ও ভিডিপি মোতায়েন আছে। এছাড়া সাঘাটা উপজেলায় তিনজন ও ফুলছড়ি উপজেলায় দুজন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সার্বক্ষণিক তদারকি করছেন।

এসজে/এমএস