জাতীয়

ধৈর্য ধরেন, এ মাসটা কষ্ট করতে হবে: বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী

লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ দেশবাসীকে ধৈর্য ধারণের আহ্বান জানিয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, এ মাসটা কষ্ট করতে হবে।

Advertisement

সোমবার (১০ অক্টোবর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।

জ্বালানি তেলের সংকটে বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তালিকা করে লোডশেডিং দিচ্ছিল সরকার। গত কয়েকদিনে লোডশেডিং ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। লোডশেডিং হচ্ছে রাতভর।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা তো তেলের পাওয়ার প্ল্যান্ট ২৪ ঘণ্টা চালু রাখতে পারি না। একটা বিষয় চিন্তা করতে হবে, তেলের পাওয়ার প্ল্যান্টগুলোর ওপর লোড পড়ছে। এ লোডের কারণে দিনের বেলায় কিছু পাওয়ার প্ল্যান্ট বন্ধ রাখছি, রাতের বেলায় ছাড়ছি। আবার দিনের বেলায় যেগুলো ছাড়ছি, সেগুলো রাতের বেলায় বন্ধ রাখছি। এজন্য লোডশেডিংয়ের জায়গাটা একটু বড় হয়ে গেছে।

Advertisement

আরও পড়ুন: ঢাকায় মধ্যরাতেও লোডশেডিং

তিনি বলেন, আমরা চাচ্ছিলাম, অক্টোবর থেকে লোডশেডিং থাকবেই না। কিন্তু আমরা সেটা করতে পারলাম না। কারণ, আমরা গ্যাস আনতে পারিনি। ফের গ্যাস বন্ধ হয়ে গেছে। বিদ্যুতে গ্যাস বন্ধ হয়ে গেছে। আমরা এখন ইন্ডাস্ট্রিতে দিচ্ছি। এ কারণেই সমস্যাটা দেখা দিচ্ছে।

নসরুল হামিদ বলেন, আমি মনে করি, এটা হয়তো সাময়িক হতে পারে, কিন্তু বললেও সাময়িক হচ্ছে না তো। বিশ্ব পরিস্থিতি আবার অন্যরকম করে ফেলে।

‘আমরা চাচ্ছি সবাই একটু ধৈর্য ধরেন। এই এক/দু মাস হয়তো কষ্ট করতে হবে। এ মাসটা কষ্ট করতে হবে। আশা করছি...সামনের মাস থেকে আমরা চেষ্টা করছি আরেকটু যাতে ভালো করা যায়।’

Advertisement

সবাই চাচ্ছে মধ্যরাতে লোডশেডিংটা যাতে কোনোভাবে বন্ধ রাখা হয়- এ বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের এখন টার্গেট হলো ইন্ডাস্ট্রিতে গ্যাস দেওয়া। এজন্য আমরা একটু ডাইভার্ট করেছি। রপ্তানিমুখী শিল্পে গ্যাসের চাহিদা বেড়ে গেছে। এ জায়গাটা দেখছি, সার কারখানায় দিতে হচ্ছে। তেলের পাওয়ার প্ল্যান্ট ২৪ ঘণ্টা চালাতে পারি না। ৮ ঘণ্টার বেশি চালাতে পারি না। এ বিষয়গুলো কিন্তু সব একসঙ্গে যোগ হয়েছে।

আরও পড়ুন: আপাতত জ্বালানি তেলের দাম কমছে না, লোডশেডিং কমেছে: প্রতিমন্ত্রী

নভেম্বর থেকে কী পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে? এমন প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ বলেন, আমি আশা করছি। আমি তো চাচ্ছিলাম অক্টোবরে পরিস্থিতি খুব ভালো হয়ে যাবে। কিন্তু এখন দেখলাম শিল্পে চাহিদা বেড়ে গেছে। আমরা বিদ্যুতে গ্যাস কমিয়ে দিয়েছি। কমিয়ে দেওয়ায় ওদিকে আবার সমস্যা দেখা দিয়েছে।

আরএমএম/ইএ/জেআইএম