কৃষি ও প্রকৃতি

বিপাকে পড়েছেন পিরোজপুরের মাল্টা চাষিরা

পিরোজপুর জেলায় ছোট-বড় মিলেয়ে প্রায় এক হাজারের বেশি মাল্টা বাগান রয়েছে। এ বছর প্রায় ৩০৪ হেক্টর জমিতে মাল্টা চাষ হয়েছে। বর্তমানে জেলার ৭টি উপজেলায়তেই বাণিজ্যিকভাবে মাল্টার চাষ হচ্ছে।

Advertisement

জেলার চাহিদা পূরণ করে মাল্টা পাঠানো হচ্ছে ঢাকা, খুলনাসহ দেশের অন্যান্য জেলায়। তাছাড়া পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর এটি বিপনণে সহজ হওয়ায় ব্যবসায়ীক ঝুঁকিও কমেছে অনেক।

করোনার কারণে ভিটামিন সি জাতীয় ফলের চাহিদা বেশি থাকায় এবং বিদেশ থেকে আমদানি করা মাল্টার চেয়ে দামে কম ও বেশি সুস্বাদু হওয়াতে ক্রেতাদের কাছে এর বেশ চাহিদা রয়েছে। পরিবহন খরচ কম হওয়ায় এবং উৎপাদিত ফলে ক্ষতিকর রাসায়নিক দ্রব্য না থাকায় ও ফলের সজিবতার কারণে এর চাহিদা অনেক বেশি।

এদিকে বর্তমানে মাল্টার দাম কম থাকায় কৃষকের উৎপাদন খরচ উঠছে না। এবছর প্রচণ্ড গরম, বন্যা এবং ভাইরাসের আক্রমণে পরিপক্ক হওয়ার আগেই ফল পেকে যাওয়ায় আগে থেকে মাল্টা বিক্রি করতে হচ্ছে কৃষকদের। ফলে ব্যবসায়ীক ঘাটতিতে পড়ছেন তারা।

Advertisement

কৃষকরা বলছেন, দুদফা বন্যা এবং অতিরিক্ত গরম ও ভাইরাসের আক্রমণে এ বছর ফলন ভালো হলেও পরিপক্ক হওয়ার আগে তা পেকে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন তারা। অন্যদিকে নগদ টাকা পেতে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই বাগান থেকে মাল্টা বিক্রি করার কারণে প্রত্যাশিত দাম থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বলে জানান তারা।

পিরোজপুর সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শিপন চন্দ্র ঘোষ জানান, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এ সমস্যার সৃষ্টি হলেও উদ্বেগের কোনো কারণ নেই। এটি কোনো স্থায়ী সমস্যা নয়। যথাযথ পরিচর্যা করলে এ সমস্যা থেকে বেড়িয়ে আসা সম্ভব।

এমএমএফ/জেআইএম

Advertisement