মাশরাফি-মুশফিকরা যা পারেননি সেটাই করে দেখাচ্ছেন মেহেদী হাসান মিরাজরা। প্রথমবারেরমত সেমিফাইনালের ওঠার পর এবার প্রথমবারেরমত ফাইনালে জায়গা করে নিতে চায় জুনিয়র টাইগাররা। নতুন এক ইতিহাসের সামনে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। সেমিফাইনালের বড় মঞ্চে তাই মিরাজদের স্বাভাবিকভাবে খেলার পরামর্শ দিলেন মাশরাফি-মুশফিকসহ অন্য সব সিনিয়র ক্রিকেটাররা।২০০২ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছেন মাশরাফি বিন মর্তুজা (যদিও কোন কারণে, খেলা হয়নি তার)। সেবার আশরাফুল, আফতাব ও নাফিস ইকবালদের মত ক্রিকেটারদের নিয়েও আশাহত হতে হয়েছিল বাংলাদেশকে। প্লেট পর্বের সেমিতে গিয়ে হেরে গিয়েছিল নেপালের কাছে। ২০০৬ সালে যুবাদের বিশ্বকাপের অধিনায়ক ছিলেন মুশফিকুর রহিম। যে দলে ছিলেন সাকিব, তামিম, সোহরওয়ার্দি শুভ, শামসুর রহমানদের মত ক্রিকেটার। এমন একটি দল নিয়ে বেশ আশা ছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট সমর্থকদের। কিন্তু সেবার মুশফিকরা কোয়ার্টার ফাইনালে উঠলেও, এরপর বেশি আর যেতে পারেননি। অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে মিরাজদের আগে ওটাই ছিল বাংলাদেশের সেরা সাফল্য।তিন ফরম্যাটে বাংলাদেশকে এখন নেতৃত্ব দিচ্ছেন মাশরাফি (ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি) এবং মুশফিক (টেস্ট)। এই দুই অধিনায়ক চান, নিজদের অপূর্ণ থেকে যাওয়া স্বপ্ন মিরাজ-শান্তদের দিয়ে পূরণ করতে। তাই সেমির লড়াইয়ে মাঠে নামার আগে নিজেদের অভিজ্ঞতা থেকে মিরাজদের পরামর্শ দিলেন দেশের সেরা দুই তারকা। শুধু তারাই নন, বাংলাদেশ দলের প্রথম টেস্ট অধিনায়ক নাইমুর রহমান দুর্জয়ও পরামর্শ দিয়েছেন যুব টাইগারদের। উত্তেজিত না হয়ে নিজেদের স্বাভাবিক খেলার কথাই বলেছেন সবাই।বুধবার মিরপুর শের-ই বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দলের অনুশীলন শেষে সংবাদ সম্মেলনে যুবাদের অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ বলেন, ‘দুর্জয় স্যার, মাশরাফি এবং মুশফিক ভাই কথা বলেছেন কাল। তারা একটা কথাই বলছে, তোমরা ক্রিকেট যেভাবে খেলছো ভালোই চলছে। অন্য কোন দিকে নজর না দিয়ে এদিকেই ফোকাস রাখতে থাকো।’বৃহস্পতিবার মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে ফাইনালের লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। প্রথম সেমিফাইনালে শ্রীলঙ্কাকে ৯৭ রানে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে ভারত।আরটি/আইএইচএস/আরআইপি
Advertisement