ধর্ম

নবিজি (সা.) কখন বেশি দোয়া করতে বলেছেন?

বান্দা যখন তার রবের সবচেয়ে কাছাকাছি হয়, তখনই দোয়া করার সবচেয়ে বেশি উপযুক্ত সময়। বান্দা সেজদায় তার রবের সবচেয়ে কাছাকাছি হয়। সুতরাং ঐ সময় সবচেয়ে বেশি দোয়া করার কথা বলেছেন নবিজি। এ সম্পর্কে হাদিসে পাকে কী এসেছে?

Advertisement

হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, নবিজি সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন-

أقْرَبُ ما يَكون العبد مِنْ رَبِّهِ وهو ساجد، فَأَكْثروا الدُّعاء

‘বান্দা নিজ রবের সর্বাধিক কাছাকাছি হয় তখন, যখন সে সেজদায় যায়। সুতরাং তোমরা (ঐ সময়) বেশি মাত্রায় দোয়া করো।’ (মুসলিম)

Advertisement

হাদিসের ব্যাখ্যা

হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, নবিজি সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “বান্দা স্বীয় রবের সর্বাধিক কাছাকাছি হয় তখন, যখন সে সাজদার অবস্থায় হয়।” কারণ, যখন কোনো মানুষ সেজদা করে তখন সে তার সর্বাধিক সম্মানিত অঙ্গগুলো পা রাখার যায়গায় রাখে; যে স্থানকে পা দিয়ে পৃষ্ট করা হয়।

অনুরূপভাবে তার শরীরের উচ্চ মর্যাদাশীল অঙ্গকে শরীরের সর্ব নিম্নমানের অঙ্গ বরাবর রাখে। অর্থাৎ একজন মানুষের চেহারা তার দেহের সর্বাধিক সম্মানিত অঙ্গ আর তার পাদ্বয় তার দেহের সর্বাধিক নিম্ম মানের অঙ্গ। সে এ উভয় অঙ্গকে আল্লাহর জন্য বিনয়ী হওয়া এবং তার সামনে অবনত করার লক্ষে একই স্থানে রাখে। এ কারণেই বান্দা স্বীয় রবের সর্বাধিক কাছাকাছি হয় তখন, যখন সে সেজদার অবস্থান করে।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সেজদা অবস্থায় বেশি বেশি করে দোয়া করার নির্দেশ দিয়েছেন। তখন এ অবস্থা ও কথা আল্লাহর বিনয়ে একত্র হবে। এ কারণেই মানুষ সেজদা অবস্থায় বলে, ‘সুবহানা রাব্বিয়াল আলা।’ তাতে ইঙ্গিত করা হয় যে, আল্লাহই তার সত্ত্বা ও সিফাতে মহান, উচ্চ মর্যাদা সম্পন্ন। আর মানুষ আল্লাহর মহত্ব ও বড়ত্বের তুলনায় নিচু ও নিম্নমুখী।

Advertisement

হাদিসের শিক্ষা

১. সেজদায় বেশি বেশি দোয়া করা মুস্তাহাব। এটি দোয়া কবুল হওয়ার স্থান।

২. আনুগত্যতা একজন ব্যক্তিকে আল্লাহর নৈকট্য বাড়িয়ে দেয়।

৩. বান্দা যত বেশি আল্লাহর আনুগত্য বাড়াবে আল্লাহ তার দোয়া তত বেশি কবুল করবেন।

৪. নিজ উম্মাতের কল্যাণ এবং কল্যাণের উপকরণ ও কল্যাণের পথসমূহের শিক্ষা দেওয়ার বিষয়ে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আগ্রহ প্রকাশ।

সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, আল্লাহকে সেজদার করার সময় বেশি বেশি দোয়া করা। নিজের প্রয়োজনগুলো এ সময় আল্লাহর কাছে তুলে ধরা। আর এ সময়েই মহান আল্লাহ বান্দার দোয়া কবুল করবেন।

এমএমএস/জেআইএম