কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি বাতিলের দাবিতে ঝাড়ু মিছিল, বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছেন পদবঞ্চিতরা।
Advertisement
শনিবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলা সদরে ঝাড়ু হাতে নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল বের করে দলের একাংশ। এ সময় পাকুন্দিয়া-মির্জাপুর, পাকুন্দিয়া-মঠখোলার তিন রাস্তা মোড়ে টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ করেন তারা।
পরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এ সময় নতুন ঘোষিত কমিটি বাতিল না হলে লাগাতার আন্দোলনের ঘোষণা দেন তারা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ১২ বছর পর ৫ অক্টোবর কিশোরগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন মোল্লা ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ফয়েজ ওমান খান স্বাক্ষরিত ১৯ সদস্যবিশিষ্ট পাকুন্দিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের আংশিক নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটিতে নাজমুল আলমকে সভাপতি ও মো. তোফায়েল আহমেদকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। এরপর থেকেই কমিটি বাতিলের দাবিতে আন্দোলনে নামেন ছাত্রলীগের একাংশ।
Advertisement
কমিটি গঠনের পর থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। এর আগে নবঘোষিত কমিটির সিনিয়র সহসভাপতি মো. আরমিন আহমেদের দুধ দিয়ে গোসল করে রাজনীতি ছাড়ার ঘোষণায় আলোড়ন সৃষ্টি করে। তার দাবি, তিনি ছাত্রদল থেকে আসা নেতার পেছনে রাজনীতি করতে পারবেন না। তাই তিনি দুধ দিয়ে গোসল করে কলঙ্কমুক্ত হতে চেয়েছেন।
কমিটি বাতিলের দাবিতে সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রলীগকর্মী সাকিবুল হাসান মুন্না অভিযোগ করেন, ‘জামাত-শিবির ও ছাত্রদল থেকে উঠে আসা অছাত্রদের নিয়ে সাবেক সংসদ সদস্য সোহরাব উদ্দিন ও তার ছেলে সাগরের পছন্দের কমিটি তারা প্রত্যাখ্যান করছি। এ কমিটিকে পাকুন্দিয়ায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হলো। বিতর্কিত কমিটি বাতিল না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে আন্দোলন চলবে। প্রয়োজনে তাদের রাজপথেই মোকাবিলা করা হবে।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- পদবঞ্চিত নেতা রাকিবুল হাসান হিমেল, রাকিবুল হাসান হৃদয়, সোহেল আহম্মেদ, চরফরাদি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, পৌর ছাত্রলীগের নেতা নাফিজ আহম্মেদ নাদিম।
অভিযোগের বিষয়ে নবগঠিত কমিটির সভাপতি নাজমুল আলম বলেন, ‘ছাত্রলীগ কোনো নৈরাজ্য বর্বরতাকে প্রশ্রয় দেয় না। পাকুন্দিয়া বাজারে জ্বালাও–পোড়াও করে আন্দোলনের নামে যে অস্থিতিশীল অবস্থা তৈরি হয়েছে, এতে আমরা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা জানাই।’
Advertisement
তিনি আরও বলেন, মাত্র ১৯ সদস্যবিশিষ্ট আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। অচিরেই আমরা পূর্ণাঙ্গ কমিটি করবো। ওই সময় ত্যাগী নেতাদের অবশ্যই মূল্যায়ন করা হবে।
এসজে/এএসএম