হংকংয়ে গণতন্ত্রের দাবিতে আন্দোলনকারী পাঁচজনকে তিন বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। জেলা আদালতের বিচারক কোক ওয়াই-কিন শনিবার (৮ অক্টোবর) অভিযুক্ত ওই পাঁচজনকে একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
Advertisement
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাজাপ্রাপ্তদের তিন বছর পর্যন্ত বৃত্তিমূলক ও উন্নয়ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে যেতে হবে। অপর দুইজনের সাজা স্থগিত করা হয়েছে।
গত বছর আটকের পর আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে দুটি পৃথক আদালতে তাদের বিচার কার্যক্রম শুরু হয়। মূল ভূখণ্ড চীন ও হংকং সরকারকে উৎখাত বা অবমূল্যায়ন করার জন্য ২০২১ সালের জানুয়ারি ও মে মাসে তারা অন্যান্যদের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে বলে অভিযোগ আনা হয়েছে। সোশ্যাল-মিডিয়ায় মন্তব্যের জন্য গত মে মাসে আটকের পর থেকে পাঁচজনকে হেফাজতে রাখা হয়।
গণতন্ত্রপন্থি কর্মী ও সাংবাদিকসহ সরকার ১১৪ জন বা তার বেশি লোককে এই আইনের অধীনে বিচার করতে চায়। তাদের মধ্যে ৫৭ জনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের অভিযোগ আনা হয়েছে। ৪৭ জনের বিরুদ্ধে ২০২০ সালে রাষ্ট্রকে ধ্বংস করার অভিযোগ রয়েছে।
Advertisement
২০২০ সালে চীন বিতর্কিত জাতীয় নিরাপত্তা আইন পাস হয়। এর আগেও এই আইনের আওতায় সাজা দেওয়া হয়েছে। এই আইনের ফলে চীনের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা ও নগরীর স্বাধীনতার জন্য হুমকি অভিযোগ আছে আগে থেকেই।
বিতর্কিত এই আইনে কর্তৃপক্ষকে অবমাননা, সন্ত্রাসবাদ ও জাতীয় নিরাপত্তা বিপন্ন ও বিচ্ছিন্নতাবাদে বিদেশিদের সঙ্গে সম্পর্ক নিষিদ্ধ করা হয়। একই সঙ্গে কেউ এ ধরনের অপরাধে যুক্ত হলে সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।
হংকং চীনের আধা স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল। এই অঞ্চলটি এক সময় যুক্তরাজ্যের একটি উপনিবেশ ছিল। ১৯৯৭ সালে চুক্তির মাধ্যমে হংকংকে চীনের হাতে তুলে দেওয়া হয়। সেই চুক্তিতে হংকংয়ের স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিত করার কথা বলা হয়। হংকং এক দেশ, দুই নীতির মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে আসছে। চুক্তি অনুসারে হংকংয়ে আলাদা বিচার বিভাগ, আইনসভা ও নিরাপত্তা বাহিনী রয়েছে।
সূত্র: ব্লুমবার্গ
Advertisement
এসএনআর