শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলা যুবলীগ ও ছাত্রলীগের প্রায় দুই শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে দু’টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। রোববার সকালে আহত আ.লীগ নেতা নাঈমের ভাই আবু সুফিয়ান বাদী হয়ে ঝিনাইগাতী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় ৮১ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ১৫ থেকে ২০ জন অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।অপরদিকে, ঝিনাইগাতী উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ওমর আলী বাদী হয়ে দ্রুতবিচার আইনে আরেকটি মামলা দায়ের করেছেন। এ মামলায় ৮৫ জনের নাম উল্লেখ করে শতাধিক আসামি করা হয়েছে। উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক এসএমএ ওয়ারেজ নাঈমসহ আওয়ামী নেতাকর্মীদের ওপর হামলা ও দলীয় কার্যালয়ে পেট্রোল বোমা হামলা, ত্রাস সৃষ্টি, ভাঙচুর ও বিস্ফোরণ ঘটানোর অভিযোগে মামলা দুটি দায়ের করা হয়েছে। উভয় মামলায় উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন, ঝিনাইগাতী উপজেলা যুবলীগ সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি ফারুক হোসেন, যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা তাহের উদ্দিন, উপজেলা আ.লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, আ.লীগ নেতা বেলায়েত হোসেন প্রমুখ। এদিকে মামলা দায়েরের পর রোববার সকাল থেকেই পুলিশ আসামিদের ধরতে অভিযানে নামে। এজাহার নামীয় আসামিদের কয়েকজনের বাড়িতে পুলিশ হানা দেয়। তবে পুলিশ অভিযানের সংবাদ পেয়ে অভিযুক্ত নেতাকর্মীরা লুকিয়ে পড়েন। ঝিনাইগাতী থানা পুলিশের ওসি ফসিহুর রহমান বলেন, মামলার আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে। আশা করছি, দ্রুতই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা সম্ভব হবে।উল্লেখ্য, ঝিনাইগাতী উপজেলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিলকে কেন্দ্র করে বিবাদমান দু’গ্রুপের দ্বন্দ্বের জের ধরে শুক্রবার রাতে স্থানীয় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সাবেক নেতাকর্মীদের একটি অংশ দলীয় কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। এ সময় তাদের হামলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক এসএমএ. ওয়ারেজ নাঈমসহ ৭ নেতাকর্মী আহত হয়।
Advertisement