কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার কালাডুমুর নদে বাল্কহেডের ধাক্কায় ভেঙে পাড়া সেতুটি পাঁচদিনেও উদ্ধার কাজ শুরু হয়নি। দুর্ঘটনাকবলিত বাল্কহেডটি সেতুর নিচে চাপা পড়ে আটকে আছে। এ কারণে এই রুটে নৌ চলাচলও বন্ধ রয়েছে। হঠাৎ সেতুটি ভেঙে পড়ায় স্থানীদের যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
Advertisement
রোববার (২ অক্টোবর) রাতে উপজেলার কালাডুমুর নদের ছান্দ্রা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। তবে এ ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
স্থানীয়রা জানান, প্রায় ১৫ বছর আগে কালাডুমুর নদের ওপর সেতুটি নির্মাণ করা হয়। এ সেতু দিয়ে জিংলাতলি ইউনিয়নের কৃষক থেকে শুরু করে ছাত্র-ছাত্রীসহ প্রতিদিন অন্তত দুই হাজার মানুষ চলাচল করতেন। নিচ দিয়ে চলাচল করতো নৌযান। এতে প্রায় প্রতিদিনই সেতুটিতে মালবাহী কার্গো ও বাল্কহেডের ধাক্কা লাগতো। ধীরে ধীরে সেতুর অবস্থা জরাজীর্ণ হয়ে পড়ে।
রোববার রাতে মেসার্স রায়হান ইসরাত পরিবহনের একটি বাল্কহেড উপজেলার ইলিয়টগঞ্জ এলাকায় বালু ফেলে ফিরছিল। খালি বাল্কহেডটি কালাডুমুর-গোমতী-মেঘনা নদী হয়ে গজারিয়ায় যাওয়ার পথে ছান্দ্রা গ্রামের কাছে পৌঁছে সেতুর মাঝখানের দিকের একটি পিলারে ধাক্কা দেয়। এতে সেতুটির মাঝখানের অংশ বাল্কহেডের ওপর ভেঙে পড়ে। তবে এ ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। চালক ও তার সহকারী সাঁতরে নদীর পাড়ে উঠে আসেন।
Advertisement
এ দুর্ঘটনার পর থেকে উপজেলার গৌরিপুর বাজারের পাশের কালাডুমুর নদের ওপর দক্ষিণের ছান্দ্রা গ্রাম থেকে উত্তরের গলিয়ার চর ও চরচার পাড়সহ অন্তত পাঁচ গ্রামের যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বর্তমানে ছয় কিলোমিটার পথ ঘুরে গৌরিপুর বাজার ও বাসস্ট্যান্ড হয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে প্রায় তিন হাজার মানুষকে।
এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা মতিন সৈকত বলেন, ‘দুর্ঘটনা ঘটেছে পাঁচদিন হয়ে গেলো। তবে জনদুর্ভোগ কমাতে এখনো কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক।’
জিংলাতলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন বলেন, বাল্কহেডের ধাক্কা লেগে লেগে সেতুটি দুর্বল হয়ে গেছে। সর্বশেষ রোববার রাতে এটি ভেঙেই গেলো। দ্রুত উদ্ধার কাজ শুরু করা হবে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) দাউদকান্দি উপজেলার প্রকৌশলী আফসার হোসেন খন্দকার বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এটি মেরামতের অযোগ্য। এখানে নতুন করে আরেকটি সেতু স্থাপনের জন্য কাগজপত্র রেডি করা হয়েছে।
Advertisement
জাহিদ পাটোয়ারী/এসআর