কুমিল্লার বরুড়ায় সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি মো. আলমগীর হোসেনকে (২৬) রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এসময় তার কাছ থেকে একটি মোবাইল ও নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) র্যাব-১০ এর পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, কুমিল্লার বরুড়া থানার রতনপুর এলাকায় বসবাসরত প্রধান আসামির বন্ধু ও ধর্ষণ মামলার ৩ নম্বর আসামি একই জেলার লাকসাম এলাকায় বসবাসরত ভিকটিমের সঙ্গে আত্মীয়তার সূত্র ধরে মিথ্যা প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এরপর প্রধান আসামির সহায়তায় তার বন্ধু পালিয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ভিকটিমকে গত ১২ জুলাই বাসা থেকে বরুড়া থানার ছোট কালিকাপুর এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে গ্রেফতার আলমগীর ও তার বন্ধু তাদের অন্য দুই সহযোগীকে মোবাইলের মাধ্যমে ডেকে নিয়ে আসেন।
গ্রেফতার আলমগীর ও ২ নম্বর আসামি ভিকটিমকে কাজী অফিসে যাওয়ার কথা বলে তাদের পূর্বপরিকল্পিত সুবিধাজনক স্থান বরুড়া থানার দুর্গাপুর কার্জন খালপাড় এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে নেওয়ার পর আলমগীরের পরামর্শে ৩ ও ৪ নম্বর আসামি সাক্ষী আনার জন্য চলে যায়। এরপর টর্চলাইট দিয়ে ভিকটিমকে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করেন আলমগীর। একপর্যায়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে প্রথমে আলমগীর ও পরে ২ নম্বর আসামি ধর্ষণ করেন। পরে ঘটনাটি কাউকে জানালে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে ভিকটিমকে দুর্গাপুর পাকা রাস্তার ওপর ফেলে পালিয়ে যায়।
Advertisement
র্যাব জানায়, ভিকটিম ঘটনাটি তার পরিবারকে জানান এবং তাদের সঙ্গে পরামর্শ করে বরুড়া থানায় আলমগীরসহ চারজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেন। মামলার বিষয়টি জানতে পেরে আলমগীরসহ অন্য আসামিরা আত্মগোপনে চলে যান। বৃহস্পতিবার রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর কাজলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে আলমগীরকে গ্রেফতার করা হয়। এরই মধ্যে তাকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানায় র্যাব।
আরএসএম/এমএএইচ/জেআইএম