বরিশালে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডেঙ্গু নিয়ে ভর্তি হয়েছেন ছয়জন। বর্তমানে মেডিকেলে ভর্তি আছেন ৩৬ জন। আর গত সেপ্টেম্বর মাসে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।
Advertisement
হাসপাতালে মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসকরা জানান, সাধারণত জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এডিস মশার বিস্তার থাকে অনেক বেশি। ওই সময়টাকে ডেঙ্গুর মৌসুমও বলা হয়। এ সময়ের তাপমাত্রা, বাতাসের আর্দ্রতা ও বৃষ্টির ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব। কিন্তু অক্টোবরে এসে এখানে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বেড়েছে।
হাসপাতালের পরিচালক ডা. সাইফুল ইসলাম জাগো নিউজকে জানান, বেশির ভাগ রোগী ঢাকা থেকে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে বরিশালে এসেছেন। পরে তারা চিকিৎসার জন্য এখানে ভর্তি হয়েছেন। স্থানীয়ভাবে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন এমন রোগীর সংখ্যা কম। গত সেপ্টেম্বর মাসে ডেঙ্গু নিয়ে মেডিকেলে চিকিৎসা নিয়েছেন ৫৮২ জন। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সেপ্টেম্বরে মৃত্যু হয়েছে পাঁচজনের। তবে বরিশালে ডেঙ্গু পরিস্থিতি এখনো জটিল আকার ধারণ করেনি। তাই ডেঙ্গু নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
ডা. সাইফুল ইসলাম বলেন, জনসাধারণের জন্য আমাদের পরামর্শ থাকবে জ্বর হলে কোনো অবহেলা করা যাবে না। ডেঙ্গু জ্বর সাধারণত সপ্তাহখানেকের মধ্যেই সেরে যায়। তবে পরিস্থিতি জটিল হলে সুস্থ হতে দুই-তিন সপ্তাহ পর্যন্ত লেগে যেতে পারে। শুরুতেই সচেতন হলে মৃত্যুঝুঁকি ও অন্যান্য জটিলতা এড়ানো সম্ভব। প্যারাসিটামল ছাড়া অন্য কোনো ব্যথানাশক ওষুধ সেবন করাও ঠিক হবে না।
Advertisement
স্বাস্থ্য বিভাগের একটি সূত্র জানায়, ডেঙ্গু রোগীর প্রকৃত সংখ্যা এরচেয়ে কিছুটা বেশি হতে পারে। কারণ অনেক বেসরকারি ক্লিনিক বা হাসপাতালের তথ্য সরকারের কাছে আসে না।
সাইফ আমীন/আরএইচ/জেআইএম