দেশজুড়ে

গাইবান্ধা-৫ আসনে ত্রিমুখী লড়াইয়ের আভাস

গাইবান্ধা-৫ (ফুলছড়ি-সাঘাটা) আসনের উপ-নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত ত্রিমুখী লড়াই হবে বলেই ধারণা করছেন স্থানীয় ভোটাররা। আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও একজন স্বতন্ত্র প্রার্থীর মধ্যে এ লড়াই হবে। ভোটযুদ্ধে লড়বেন আরও দুজন স্বতন্ত্র প্রার্থী।

Advertisement

ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জয়ের জন্য মরিয়া আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী মাহমুদ হাসান রিপন। তবে হাল ছাড়তে নারাজ জাতীয় পার্টি সমর্থিত প্রার্থী এ এইচ এম গোলাম শহীদ রঞ্জু। অনেকটা সুবিধাজনক স্থানে আছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী নাহিদুজ্জামান নিশাদ। তাদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন আরও এক স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ মাহবুবুর রহমান ও বিকল্পধারার জাহাঙ্গীর আলম।

১৯৮৬ সালের তৃতীয়, ১৯৮৮ সালের চতুর্থ, ১৯৯১ সালের পঞ্চম সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধা-৫ আসন থেকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচিত হন স্বতন্ত্র প্রার্থী। পরে ১৯৯৬ সালের ১২ জুন সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধা-৫ আসন থেকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী নির্বাচিত হন। এরপর ২০০১ সালের অষ্টম সংসদ নির্বাচনে ইসলামী জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী নির্বাচিত হন এই আসনে।

পরে ২০০৮ সালের নবম, ২০১৪ সালের দশম এবং ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধা-৫ আসন থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নির্বাচিত হন এই আসনে।

Advertisement

গত এক সপ্তাহে সরেজমিন সাঘাটা-ফুলছড়ি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ঘুরে উপ-নির্বাচন নিয়ে দলীয় ও সাধারণ ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে ভিন্ন ভিন্ন মতামত পাওয়া গেছে। একাদশ জাতীয় সংসদের উপ-নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী এমপি প্রার্থীরা প্রত্যেকেই জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী হলেও মূলত নৌকা, লাঙল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী নিশাদের মধ্যেই লড়াই হবে বলে মনে করছেন অনেকে।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এ আসনে সাবেক ডেপুটি স্পিকার মৃত ফজলে রাব্বী মিয়া জাতীয় পার্টি থেকে চারবার জয়ী হন। পরে আওয়ামী লীগ থেকে টানা তিনবার নির্বাচিত হয়ে দশম ও একাদশ নির্বাচনে জয়ী হয়ে ডেপুটি স্পিকারের দ্বায়িত্ব পালন করেন তিনি।

ফুলছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান সেলিম পারভেজ জাগো নিউজকে বলেন, বিপুল ভোটে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী মাহমুদ হাসান রিপনকে বিজয়ী করতে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করে যাচ্ছেন।

ফুলছড়ি উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি ও উদাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আল আমিন জাগো নিউজকে বলেন, গাইবান্ধা-৫ আসনে দীর্ঘদিন জাতীয় পার্টির প্রার্থী এমপি ছিলেন। তার আশা তারা আসনটি আবার ফিরে পাবেন।

Advertisement

স্বতন্ত্র প্রার্থী নিশাদের সর্মথক মাহমুদুর রহমান বলেন, এলাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী আপেল প্রতীকে জোয়ার দেখা দিয়েছে। শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হলে সাধারণ মানুষ আপেল প্রতীককেই ভোট দেবে।

তবে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ মাহবুবুর রহমান ও বিকল্পধারার জাহাঙ্গীর আলমের সমর্থকরাও।

জেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সাঘাটা উপজেলার ১০টি ও ফুলছড়ি উপজেলার সাতটি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত গাইবান্ধা-৫ আসন। দুই উপজেলা মিলে এ আসনটিতে তিন লাখ ৩৯ হাজার ৭৪৩ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। উপ-নির্বাচনে এ আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

গত ২৩ জুলাই সাবেক ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার মৃত্যুতে গাইবান্ধা-৫ আসনটি শূন্য হয়। শূন্য এ আসনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১২ অক্টোবর।

এসআর/জিকেএস