অনেকেরই বিয়ে নিয়ে নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি আছে। চারপাশে বিয়ে ভাঙার দৈনন্দিন নানা খবর অনেকের মধ্যেই বিয়ের প্রতি অনীহা সৃষ্টির জন্য দায়ী।
Advertisement
তবে জানলে অবাক হবেন, শারীরিক কিংবা মানসিকভাবে সুস্থ ও সুখী হতে বিয়ের বিকল্প নেই। এমনকি দুরারোগ্য ব্যাধি ক্যানসারে মৃত্যুঝুঁকিও কমে বিয়ে করলে, এমনটিই জানাচ্ছে এক গবেষণা।
৩০০০ গ্যাস্ট্রিক ক্যানসারে আক্রান্তদের নিয়ে করা হয় গবেষণাটি। গ্যাস্ট্রিক ক্যানিসার হলো ৫ম সবচেয়ে সাধারণ ধরনের ক্যানসার ও বিশ্বব্যাপী ক্যানসারে মৃত্যুর তৃতীয় প্রধান কারণ।
২০১৮ সালে ১ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে এই ক্যানসারে ও ৭ লাখ ৮০ হাজার জন মারা গেছেন। এই রোগ নারীদের মধ্যে পুরুষদের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ বেশি। ৫০ বছরের পর থেকে এই ক্যানসারের ঝুঁকি বেশি থাকে।
Advertisement
ক্যানসারে প্রথমিক পর্যায়ের আক্রান্তদের উপর করা এই গবেষণা ‘জার্নাল অব ইনভেস্টিগেটিভ মেডিসিন’এ প্রকাশিত হয়।
গবেষকরা দাবি করেছেন, অবিবাহিত ও যাদের জীবনসঙ্গী নেই তাদের মধ্যে পাকস্থলীর ক্যানসারে মৃত্যুর ঝুঁকি বিবাহিতদের চেয়ে বেশি।
গবেষণায় জানা গেছে, বিবাহিতদের মধ্যে ক্যানসার আকান্তরা অবিবাহিত ক্যানসার রোগীদের চেয়ে সারভাইভ করেন অর্থাৎ বেঁচে থাকেন বেশিদিন।
চিনা গবেষকরা বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে দেখেছেন, ক্যানসারে আক্রান্ত ৭২ শতাংশ বিবাহিত পুরুষ ও নারীরা অবিবাহিতদের তুলনায় অন্তত ৫ বছর বেশি বাঁচেন।
Advertisement
এর পেছনের কারণ হিসেবে গবেষকরা ব্যাখ্যা করেছেন, জীবনসঙ্গী পাশে থাকলে দুঃখ ও প্রদাহের অনুভূতি অনেকটাই কম হয়।
এমনকি এমন রোগীরা ক্যানসারের সঙ্গে শেষ পর্যন্ত লড়াই করেন শুধু জীবনসঙ্গী ও পরিবারের কাছে ফেরত যাওয়ার জন্য।
অন্যদিকে অবিবাহিত ও একাকী যারা জীবন কাটান তাদের মেধ্যে কোনো পিছুটান ও ভালোবাসা কাজ করে না। আর শরীরে কোনো রকম সমস্যা হলেও তারা বেশি গুরুত্ব দেন না।
আর এ কারণে বিভিন্ন রোগের ঝুঁকিও যেমন এদের মধ্যে বেশি থাকে, আবার ক্যানসার হলে সারভাইভ করার রেটও অনেক কম এদের মধ্যে।
গবেষণার তথ্য বলছেন, যাদের জীবনসঙ্গী মারা গেছেন তাদের মধ্যে পাকস্থলীর ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুঝুঁকির হার অনেকটাই বেশি। শরীরের যত্ন না নেওয়া এর পেছনের অন্যতম কারণ।
অন্যদিকে বিবাহিতদের মধ্যেই রোগ শনাক্তের হার সবচেয়ে বেশি। ফলে চিকিৎসাও শুরু হয় প্রাথমিক অবাস্থায়।
তাই বিবাহিতদের সুস্থতার হারও বেশি। এছাড়া বিবাহিতরা আর্থিক ও মানসিক দু’দিক দিয়েই রোগের সঙ্গে লড়াই করার বেশি সামর্থ্য রাখে।
সূত্র: বিএমজে
জেএমএস/এএসএম