এবারের নারী এশিয়া কাপের প্রথম চমক দেখালো থাইল্যান্ড ক্রিকেট দল। গত তিন আসরে দুইবার ফাইনাল খেলা পাকিস্তানকে হারিয়ে দিলো থাই মেয়েরা।
Advertisement
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে উত্তেজনাকর ম্যাচে এক বল হাতে রেখে ৪ উইকেটে জিতেছে থাইল্যান্ড। চলতি টুর্নামেন্টে এটিই তাদের প্রথম জয়।
মজার ব্যাপার হলো, ঠিক আগের ম্যাচেই বাংলাদেশকে নাকাল করেছিল পাকিস্তান আর থাইল্যান্ড নিজেদের প্রথম ম্যাচে আবার নাকাল হয়েছিল বাংলাদেশের কাছে।
আজকের ম্যাচে ৪ উইকেট হাতে নিয়ে শেষ ওভারে থাইল্যান্ডের দরকার ছিল ১০ রান। ডিয়ানা বায়াগ ওভারের প্রথম বলটি ওয়াইড দেন, পরের ডেলিভারিতে আসে এক রান।
Advertisement
দ্বিতীয় বলটিই বাউন্ডারিতে পরিণত করেন আট নম্বর ব্যাটার রোসেনান কানোহ। পরের দুই বলে তিনি নেন তিন রান। ম্যাচ তখন টাই। পঞ্চম বলটি মিডউইকেটে স্লগ করেই এক রানের জন্য দৌড়ান বোচাথান। জয়ের উল্লাসে মাতে থাই শিবির।
লো স্কোরিং ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৫ উইকেটে ১১৬ রানেই থেমে গিয়েছিল পাকিস্তানের ইনিংস। ওপেনার সিদরা আমিন ৬৪ বলে খেলেন ৫৬ রানের ইনিংস। বাকিরা কেউ বিশের ঘরও ছুঁতে পারেননি।
ওপেনার মুনিবা আলি ১৪ বলে ১৫, নিদা দার ২২ বলে ১২ আর আলিয়া রিয়াজ ৯ বলে ১০ রানে অপরাজিত থাকেন।
থাইল্যান্ডের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল সরনাইন তিপোচ। ৪ ওভারে ২০ রান দিয়ে ২টি উইকেট নেন এই অফস্পিনার।
Advertisement
১১৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করা থাইল্যান্ডকে জয়ের ভিত গড়ে দিয়েছেন ওপেনার নানাপথ কনচারয়েনকাই। ৫১ বলে ৫ বাউন্ডারি আর ২ ছক্কায় তিনি খেলেন ৬১ রানের ম্যাচ জেতানো ইনিংস।
শেষদিকে পাকিস্তানি বোলাররা বেশ চেপে ধরেছিলেন থাইল্যান্ডকে। তবে নানাপথ বলতে গেলে একাই লড়াই করে দলকে এগিয়ে নিয়েছেন। ইনিংসের ১০ বল বাকি থাকতে আউট হন তিনি। তবে তখন থাইল্যান্ডের দরকার মাত্র ১২ রান।
এমএমআর/এএসএম