ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস (ইএফডি) চালানের মাধ্যমে সেপ্টেম্বরে ভ্যাট এসেছে ২৯ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। দেশের পাঁচটি কমিশনারেট (ঢাকা উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব, পশ্চিম ও চট্টগ্রাম) স্থাপিত ইএফডি ও এসডিসির মাধ্যমে ৩২ লাখ ২৪ হাজার চালানের বিপরীতে এ ভ্যাট আদায় করা হয়। গত আগস্টে ইএফডির মাধ্যমে ভ্যাট এসেছিল ৩৭ কোটি ৬১ লাখ টাকা।
Advertisement
বুধবার (৫ অক্টোবর) এনবিআরের সম্মেলন কক্ষে ইএফডি লটারি ড্র উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এনবিআর সদস্য (মূসক মূল্যায়ন ও বাস্তবায়ন) মইনুল খান এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ইএফডি মেশিনের জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। গত অর্থবছরের তুলনায় চলতি বছরের আগস্টে ইনভয়েসিং ও রাজস্ব আদায়ে ভালো প্রবৃদ্ধি হয়েছে। সেপ্টেম্বর মাসে ইএফডির মাধ্যমে ভ্যাট এসেছে ২৯ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। পাঁচটি কমিশনারেট ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট সাত হাজার ৮৩২টি ইএফডি ও এসডিসি স্থাপন করেছে।
মইনুল বলেন, এ সেক্টরে যুগান্তকারী পরিবর্তন এসেছে। যখন তিন লাখ মেশিন বসানো হবে, তখন দীর্ঘমেয়াদে আরও সফলতা আসবে। এজন্য সচেতনতা আরও বাড়ানোর প্রয়োজন রয়েছে।
Advertisement
এসময় এনবিআর সদস্য (ভ্যাট নিরীক্ষা) ড. সহিদুল ইসলামসহ সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আজ ২১তম লটারির ড্র অনুষ্ঠিত হয়। ইএফডি চালানের লটারিতে প্রথম পুরস্কার এক লাখ টাকা, দ্বিতীয় পুরস্কার ৫০ হাজার টাকা ও তৃতীয় পুরস্কার ২৫ হাজার টাকা (পাঁচটি)। এছাড়া চতুর্থ পুরস্কার হিসেবে ৯৩ জনকে ১০ হাজার টাকা দেওয়া হবে। সেপ্টেম্বর মাসের ১ থেকে ৩০ তারিখ পর্যন্ত চালানের ওপর ভিত্তি করে এই লটারির ড্র অনুষ্ঠানটি আয়োজন করা হয়।
ভ্যাট আদায়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে ২০১৯ সালের ২৫ আগস্ট ইএফডির উদ্বোধন করেন এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম।
২০২১ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি প্রথমবারের মতো ইএফডি চালানের লটারির ড্র অনুষ্ঠিত হয়। ক্রেতাদের ভ্যাট দিতে উৎসাহিত করার জন্য এই লটারির আয়োজন করা হয়। প্রতি মাসের ৫ তারিখ বা ৫ তারিখ সরকারি ছুটির দিনে সম্ভব না হলে পরের কর্মদিবসে লটারির ড্র অনুষ্ঠিত হয়।
Advertisement
এসএম/আরএডি/জেআইএম