বর্তমানে চোখ ওঠার সমস্যায় অনেকেই ভুগছেন। সাধারণত চোখের দুটি সংক্রমণ হলো স্টাইস (অঞ্জনি) ও পিঙ্ক আই বা চোখ ওঠা (কনজাংটিভাইটিস)।
Advertisement
উভয় সংক্রমণের কারণেই চোখে লালভাব, চোখ পানি পড়া ও চুলকানির সৃষ্টি হয়। অনেক ক্ষেত্রেই এদের লক্ষণ আলাদা করা যায় না।
তবে অঞ্জনি ও চোখ ওঠার মধ্যে প্রধান পার্থক্য হলো, অঞ্জনির ক্ষেত্রে চোখের পাতার ভেতরে বা নিচে একটি শক্ত পিণ্ডের সৃষ্টি হয়।
যা ফোঁড়ার মতো পাকে ও পরবর্তী সময়ে ফেটে যায়। অন্যদিকে পিংক আইজ বা চোখ ওঠার সমস্যায় চুলকানি ও ব্যথা থাকলেও কোনো ধরনের পিণ্ড দেখা দেয় না।
Advertisement
চোখ ওঠার লক্ষণ কী কী?
>> চোখে ঝাপসা দেখা>> চোখের পাতায় প্রদাহ ও লালভাব>> চোখের চারপাশে কাটা ফোঁটার অনুভূতি>> চোখের সাদা অংশে লালভাব>> চোখ দিয়ে সাদা স্রাব বের হওয়া>> অনবরত পানি পড়া>> চুলকানি ইত্যাদি।
অঞ্জনির লক্ষণ কী কী?
>> চোখের ভেতরে বা চারপাশে ব্যথা>> চোখের পাতায় লাল পিণ্ড হওয়া>> ফোলা চোখের পাতা>> আলোর প্রতি সংবেদনশীলতা>> চোখ দিয়ে পুঁজ বা স্রাব বের হওয়া>> রক্তবর্ণ চোখ>> চোখে একটি তীক্ষ্ণ অনুভূতি।
Advertisement
চোখের ভেতরের অংশেই বেশিরভাগ সময় অঞ্জনির সৃষ্টি হয়। যা চোখের পাপড়ি বরাবর লাইনে দেখা দেয়। আবার কারও ক্ষেত্রে অঞ্জনি চোখের পাতার টিস্যুর মধ্যে একটি তেল গ্রন্থির সংক্রমণে সৃষ্টি হয়। এই পিণ্ড বড় হতেই চোখের উপর ধাক্কা লাগে। এক্ষেত্রে আরও বেশি কষ্ট হয়।
অঞ্জনি ও চোখ ওঠার কারণ কী?
অঞ্জনি কোনো কারণ ছাড়াই হঠাৎ হতে পারে। তবে চোখের পাতার টিস্যুর মধ্যে থাকা কোনো তেল গ্রন্থিতে সংক্রমণ ঘটলে সেখান থেকে অঞ্জনির সৃষ্টি হতে পারে।
অন্যদিকে গোলাপি চোখের বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে। যেমন- ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, বা অ্যালার্জেন চোখ ওঠার অন্যতম কারণ। এছাড়া বায়ু দূষণ, কন্টাক্ট লেন্সের ব্যবহারসহ বিভিন্ন কারণেও চোখে সংক্রমণ হতে পারে।
কীভাবে এদের চিকিৎসা করা হয়?
চোখ ওঠার সমস্যা সমাধানে ঘরোয়া বেশ কিছু উপায় অনুসরণ করতে পারেন। যেমন- ঠান্ডা সেঁক নেওয়া, চোখ বারবার স্পর্শ না করা, চোখের ড্রপ ব্যবহার করা ইত্যাদি।
গুরুতর ক্ষেত্রে চোখে ঝাপসা দেখা, তীব্র ব্যথা, চুলকানিসহ নান লক্ষণ দেখা দিতে পারে। সাধারণত চোখ ওঠার সমস্যা ৩-৫ দিনের মধ্যে না সারলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
আর অঞ্জনির চিকিৎসায় আমেরিকান চক্ষুবিদ্যা অ্যাকাডেমির পরামর্শ হলো, আক্রান্ত চোখ পরিষ্কার করে হালকা গরম সেঁক নিন। দিনে ৫ বার ১৫ মিনিট পর্যন্ত এটি অনুসরণ করুন। তবে চোখ ঘষবেন না।
কয়েকদিন পরও যদি অঞ্জনি না সারে তাহলে ডাক্তারের কাছে যান। এক্ষেত্রে চিকিৎসকরা অ্যান্টিবায়োটিক লিথে দিতে পারেন।
অঞ্জনি ও চোখ ওঠার এড়াতে করণীয়
>> নিয়মিত হাত ধোয়া।>> মেকআপ রিমুভার দিয়ে চোখের মেকআপ পরিষ্কার করা।>> বিছানার চাদর ও বালিশ ঘন ঘন ধোয়া।>> তোয়ালে, ওয়াশক্লথ, প্রসাধনীসহ চোখ স্পর্শ করে এমন জিনিস কারও সঙ্গে শেয়ার না করা ইত্যাদি।>> শিশুদের ক্ষেত্রে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
সূত্র: হেলথলাইন
চোখে ‘অঞ্জনি’ হলে দ্রুত সারাতে যা করবেন
চোখে ‘অঞ্জনি’ হলে দ্রুত সারাতে যা করবেন
চোখ ওঠার সংক্রমণ এড়াবেন যেভাবে
চোখ ওঠার সমস্যায় কখন ডাক্তারের কাছে যাবেন?
‘চোখ ওঠা’সহ আরও যে কারণে রক্তবর্ণ হয়ে ওঠে চোখ
জেএমএস/জেআইএম